পেছন কোমরে ব্যথা, বারবার প্রস্রাবে সংক্রমণ—এ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে গিয়ে ধরা পড়ল কিডনির পাথর। এরপর তা অনেককেই বিচলিত করে। চিকিৎসা না করলে ধীরে ধীরে কিডনির কার্যক্ষমতা কমতে থাকে এবং একসময় একেবারেই অকার্যকর হয়ে যেতে পারে। এ কার্যক্ষমতা কমতে থাকা নির্ভর করে পাথরের ধরন, অবস্থান, আকৃতি এবং সঠিক চিকিৎসা ও পরবর্তী প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ওপর। তাই সঠিক সময়ে সঠিক ব্যবস্থা নিলে কার্যক্ষমতা অনেকাংশে রোধ করা যায়।কারণকিডনিতে পাথর হওয়ার প্রকৃত কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে কিছু কারণ, যেমন কিডনিতে বারবার সংক্রমণ এবং যথোপযুক্ত চিকিৎসা না করা, দৈনিক অল্প পানি গ্রহণ; খাবারে অধিক লবণ, অধিক আমিষ গ্রহণ এবং কম ফলফলাদি ও শাকসবজি খাওয়া, বেশি বা খুব কম ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার, জন্মগত ও বংশগত ত্রুটির জন্যও পাথর হতে পারে।
উপসর্গ
অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোনো উপসর্গ না-ও থাকতে পারে। মাঝে মাঝে প্রস্রাবের সঙ্গে ছোট ছোট পাথর যাওয়া, হঠাৎ তলপেটে, নিচের পেটের দুই পাশে, বাঁ কোমরে তীব্র ব্যথা, রক্তবর্ণেও লাল প্রস্রাব, ব্যথা, জ্বালাপোড়া থাকতে পারে। বমি বমি ভাব বা বমিও হতে পারে। হতে পারে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর।
চিকিৎসা
চিকিৎসানির্ভর করে পাথরের অবস্থান, আকার, ধরন, কিডনির কার্যকারিতা এবং প্রস্রাবের পথে প্রতিবন্ধকতার ওপর। কিছু ক্ষেত্রে পাথর অপসারণের জন্য অস্ত্রোপচার বা যন্ত্রের মাধ্যমে পাথর ভেঙে বের করা হয়। কিছু ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার না করে ওষুধ সেবন করার মাধ্যমে পাথর বের করা বা পাথর আর বড় না হওয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। অস্ত্রোপাচারের পরও আবার পাথর হতে পারে। সে ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি ওষুধ সেবন করলে সুফল পাওয়া যেতে পারে।
প্রতিরোধ
যথেষ্ট পরিমাণে পানি পান করবেন।
বারবার প্রস্রাবে সংক্রমণ হলে সতর্ক হোন।
কখনোই প্রস্রাব আটকে রাখবেন না।
লবণ কম, আমিষ মধ্যম পরিমাণে খেতে হবে।
কালসিয়ামযুক্ত খাবার খাওয়া যাবে কিন্তু প্রয়োজন ব্যতীত ক্যালসিয়াম ওষুধ ও ভিটামিন ডিযুক্ত ওষুধ না খাওয়াই ভালো।
বেশি অক্সালেটযুক্ত খাবার যেমন পালংশাক, বীট, মিষ্টি আলু, চা, চকলেট এবং সয়াজাতীয় খাদ্য পরিমিত খাবেন।
শাকসবজি বেশি করে খেতে হবে।
মেডিসিন বিভাগ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতা
উপসর্গ
অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোনো উপসর্গ না-ও থাকতে পারে। মাঝে মাঝে প্রস্রাবের সঙ্গে ছোট ছোট পাথর যাওয়া, হঠাৎ তলপেটে, নিচের পেটের দুই পাশে, বাঁ কোমরে তীব্র ব্যথা, রক্তবর্ণেও লাল প্রস্রাব, ব্যথা, জ্বালাপোড়া থাকতে পারে। বমি বমি ভাব বা বমিও হতে পারে। হতে পারে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর।
চিকিৎসা
চিকিৎসানির্ভর করে পাথরের অবস্থান, আকার, ধরন, কিডনির কার্যকারিতা এবং প্রস্রাবের পথে প্রতিবন্ধকতার ওপর। কিছু ক্ষেত্রে পাথর অপসারণের জন্য অস্ত্রোপচার বা যন্ত্রের মাধ্যমে পাথর ভেঙে বের করা হয়। কিছু ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার না করে ওষুধ সেবন করার মাধ্যমে পাথর বের করা বা পাথর আর বড় না হওয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। অস্ত্রোপাচারের পরও আবার পাথর হতে পারে। সে ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি ওষুধ সেবন করলে সুফল পাওয়া যেতে পারে।
প্রতিরোধ
যথেষ্ট পরিমাণে পানি পান করবেন।
বারবার প্রস্রাবে সংক্রমণ হলে সতর্ক হোন।
কখনোই প্রস্রাব আটকে রাখবেন না।
লবণ কম, আমিষ মধ্যম পরিমাণে খেতে হবে।
কালসিয়ামযুক্ত খাবার খাওয়া যাবে কিন্তু প্রয়োজন ব্যতীত ক্যালসিয়াম ওষুধ ও ভিটামিন ডিযুক্ত ওষুধ না খাওয়াই ভালো।
বেশি অক্সালেটযুক্ত খাবার যেমন পালংশাক, বীট, মিষ্টি আলু, চা, চকলেট এবং সয়াজাতীয় খাদ্য পরিমিত খাবেন।
শাকসবজি বেশি করে খেতে হবে।
মেডিসিন বিভাগ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতা
No comments:
Post a Comment