কলমী শাকের বোটানিক্যাল নাম হল Ipomea reptans (Linn.) আমাদের দেশে একটা প্রবাদ আছে , বর্ষাকালে এই শাক খেতে নেই । কথাটা ঠিকই- কারণ বর্ষাকালে লোকের হজমক্ষমতা যেমন কমে যায় , তেমনি এই কালেই কিছুটা সমস্যা হয়, অন্য কালে তার গুন প্রচুর ।
কলমী শাক সচরাচর জলে জন্মে । নলকুপের ধারে , পুকুর পাড়ে , যেখানে পানি জমা থাকে সেখানে জন্মায় । কলমী শাক দুধরণের হয়। এক ধরনের কলমী শাকে ডাটাঁ লাল রংয়ের , আর এক ধরনের কলমী শাকের ডাটাঁ সাদা- সবুজাভ। গুন- কলমী শাক মধুর তিক্ত রসযুক্ত। মাতা -প্রযোজন অন্তত ৫০ গ্রাম শাক। প্রযোগ এবং ব্যবহারঃ ১। গুরুতরভাবে আফিং- এর বিষক্রিয়া দেখা দিলে- ছটাক খানেক কলমী শাকের রস খাইয়ে দিলে রোগী সুস্থ হয়ে উঠবে । ২। শিশু পোষনের জন্য- যতটুকু দুধ দরকার ,মায়ের তা না থাকলে সকালে এবং বিকেলে ৩/৪ চা চামচ মাত্রায় কলমী শাকের রস একটু ঘি দিয়ে খেলে মাতৃস্তন্যে দুধ বাড়বে । ৩। বসন্তের প্রতিষেধক হিসেবে- বসন্তের প্রতিষেধক হিসেবে কলমি শাকের গুন অনেক । বসন্তকে যদি দুরে রাখতে চান, তাহালে প্রতিদিন বাড়ির সকলকে ২ চা চামচ কলমী শাকের রস গরম দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে দিন । ৪। গণোরিয়া জ্বালা- যন্ত্রণা ও পুঁজ পড়ার ক্ষেত্রে- গণোরিয়া হলে এবং সেই সাথে জ্বালা যন্ত্রণা ও পুঁজ পড়া থাকলে, ৪/৫ চা চামচ কলমী শাকের রস অল্প ঘিয়ে সাঁতলে নিয়ে সকালে - বিকালে অন্তত সাতদিন খান। এতে জ্বালা- যন্তনা যেমন বন্দ হবে , পূজ পড়া ও তেমনি কমে যাবে। ৫। কোলের শিশু দিনে ঘুমিয়ে রাতে জাগলে- অনেক সময় শিশুর মল কঠিন হয়ে গেলে এমনটি হয়। এ খেতে ঈষৎ গরম দুধের সঙ্গে ২০ বা ২৫ ফোঁটা কলমীশাকের রস শিশুকে খাওয়ান । দেখবেন এতে করে খুব ভাল ফল হবে । ৬। বোলতা, ভীমরুল বা মৌমাছি কামড়ালে- এদের কামড়ে প্রচন্ড যন্তনা হতে থকলে কলমী বেটে হুল ফোটাবার জায়গায়/ ক্ষত স্থানে লাগান কলমীর ডগা ঘষে দিলেও বেশ ভাল আরাম পাবেন। ৭। স্তনে দুধ বসে গেলে- কলমী বেটে অল্প গরম করে স্তনে লাগান এবং কলমী শাকের রস দিয়ে ধুয়ে দিন । এতে বসা দুধ পাতলা হয়ে নিঃসরনের সুবিধে হবে এবং যন্ত্রণাও কমে যাবে । সূত্র: বাংলাহিলি |
Saturday, 18 January 2014
জেনে নিন কলমী শাকের কিছু ঔষধি গুন
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment