Monday, 21 July 2014

অসাধারণ ১৯টি টিপস দেরী না করে দেখে নিন।

অসাধারণ ১৯টি টিপস দেরী না করে দেখে নিন।

১. ঠোটেঁ কালো ছোপ পড়লে কাঁচা দুধে তুলো ভিজিয়ে ঠোটেঁ মুছবেন।
এটি নিয়মিত করলে ঠোটেঁর কালো দাগ উঠে যাবে।

২. টমেটোর রস ও দুধ একসঙ্গ মিশিয়ে মুখে লাগালে রোদে জ্বলা বাব কমে যাবে।

৩. হাড়িঁ-বাসন ধোয়ার পরে হাত খুব রুক্ষ হয়ে যায়। এজন্য বাসন মাজার পরে দুধে কয়েক ফোঁটা লেবু মিশিয়ে হাতে লাগান। এতে আপনার হাত মোলায়েম হবে।

৪. কনুইতে কালো ছোপ দূর করতে লেবুর খোসায় টিনি দিয়ে ভালো করে ঘষে নিন। এতে দাগ চলে গিয়ে কনুই নরম হবে।

৫. মুখের ব্রণ আপনার সুন্দর্য নষ্ট করে। এক্ষেত্রে রসুনের কোয়া ঘষে নিন ব্রণের উপর। ব্রণ তাড়াতাড়ি মিলিয়ে যাবে।

৬. লিগমেন্টেশন বা কালো দাগ থেকে মুক্তি পেতে আলু, লেবু ও শসার রস এক সঙ্গে মিশিয়ে তাতে আধ চা চামচ গ্লিসারিন মিশিয়ে যেখানে দাগ পড়েছে সেখানকার
ত্বকে লাগান।

৭. চুল পড়া বন্ধ করতে মাথায় আমলা, শিকাকাই যুক্ত তেল
লাগান।

৮. তৈলাক্ত ত্বকে ঘাম জমে মুখ কালো দেখায়। এক্ষেত্রে ওটমিল ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখবেন আধা ঘন্টা।
আধা ঘন্টা পর ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে নিন।

৯. যাদের হাত খুব ঘামে তারা এই
সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে লাউয়ের
খোসা হাতে লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ।

১০. পায়ের গোড়ালি ফাটলে পেঁয়াজ বেটে প্রলেপ দিন এ জায়গায়।

১১. ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য প্রতিদিন ১৫ গ্রাম করে মৌরি চিবিয়ে খান। খুব কম সময়ে রক্ত শুদ্ধ হয়ে ত্বক উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।

১২. মুখে কোন র্যাশ বের হলে অড়হর ডাল বাটা পেষ্ট লাগান র্যাশের উপর। কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন। দাগ থাকবেনা।

১৩. পিঠের কালো ছোপ তুলতে ময়দা ও দুধ এক সঙ্গে মিশিয়ে পিঠে দশ মিনিট ধরে ঘষবেন। এটা নিয়মিত করলে পিঠের ছোপ উঠে যায়।

১৪. মুখের তাৎক্ষনিক লাবণ্য আনতে একটা ভেষজ রুপটান আছে। আধা চা চামুচ লেবুর রস, এক চা চামচ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে মুখে ও গলায় লাগান। পনের মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটা আপনার মুখকে আদ্র রাখবে।

১৫. হাত পায়ের সৈৌন্দয্য অক্ষুন্ন রাখতে হাতে ও পায়ে আপেলের খোসা ঘষে নিন। এতে হাত ও পা অনেক বেশী ফর্সা দেখাবে।

১৬. মুখের বাদামী দাগ উঠাতে পাকা পেঁপে চটকে মুখে লাগান, পরে ধুয়ে ফেলুন।

১৭. নিঃশ্বাসের দুগন্ধ থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত দুই কোয়া করে কমলালেবু খান। দুই মাস পর এ সমস্য থাকবেনা।

১৮. সমপরিমান তুলসী পাতার রস ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে দুই বেলা নিয়মিত মুখে লাগান যেকোন দাগ মিলিয়ে যাবে।

১৯. অতিরক্ত শুষ্কতা থেকে মুক্তি পেতে মধু, দুধ ও বেসনের পেষ্ট মুখে লাগান নিয়মিত। এতে ত্বকের বলিরেখা ও দূর হয়ে যাবে।

আমাদের পোষ্ট যদি আপনাদের সামান্য ভাল লেগে থাকে অথবা উপকারে এসে থাকে, তবে শেয়ার করে বন্ধুদের দেখার সুযোগ দিন এবং কমেন্টে অন্তত একটা THX জানাইয়েন....

আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য । ধন্যবাদ।

রসুনের গুনাগুন"

রসুনের গুনাগুন"

> যৌবনের প্রারম্ভ থেকেই যদি কেউ ১/২ চামচ কাচা আমলকির রসের সাথে ১/২ কোয়া রসুন বাটা মিশিয়ে খায়, বার্ধক্য দেরিতে আসে। যৌবনের সজীবতা অনেকদিন বজায় থাকে।

> বীর্য পাতলা হলে, অল্প গরম দুধের সাথে ২/১ কোয়া রসুন বেটে নিয়মিত খেতে হবে। এভাবে খেলে যক্ষার প্রতিশেধক হিসেবেও কাজ করে।

> অনেক খাওয়া দাওয়ার পর ও শরীর শুকিয়ে যেতে থাকলে ১/২ কোয়া রসুন বেটে এক পোয়া দুধে ফুটিয়ে খেলে ওজন বাড়বে।

> বাতের ব্যাথায় গাওয়া ঘি এর সাথে ২/৩ কোয়া রসুন বাটা খেতে হবে। তাছাড়া সরিষার তেলে রসুন ভেজে মালিশ করা যেতে পারে।

> অনেক দিন যাবত হাল্কা জ্বর থাকলে ৫/৭ ফোটা রসুনের রসের সাথে এক চামচ ঘি মিশিয়ে খেলে অল্প দিনেই ভালো হয়ে যায় (না হলে অবশ্যি ডাক্তার দেখাবেন)।

> দুই বা এক কোয়া রসুন চিবিয়ে খেয়ে একটু গরম দুধ খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়, কৃমি দূর হয়, শরীরের জড়তা কাটে। তাছাড়াও চুলকানি ও রাতকানায় উপকার পাওয়া যায়।

> কুকুর কামড়ালে অবশ্যই ইঞ্জেকশন নেবেন। পাশাপাশি ২-৫ ফোটা রসুন এর রস অল্প দুধে মিশিয়ে খাবেন।

> এমফাইসিমা (এক ধরণের হাপানি যাতে শ্বাস ছাড়তে কষ্ট হয়) এর উপশমের জন্য ৫/৭ ফোটা রসুনের রস ঠান্ডা দুধে মিশিয়ে রোজ খেতে হবে।

> বাচ্চার হুপিং কাশিতে পায়ের নিচে ভেসলিন এর প্রলেপ লাগিয়ে ২/৩ কোয়া রসুন বেটে লাগাতে হবে।

আমাদের পোষ্ট যদি আপনাদের সামান্য ভাল লেগে থাকে অথবা উপকারে এসে থাকে, তবে শেয়ার করে বন্ধুদের দেখার সুযোগ দিন এবং কমেন্টে অন্তত একটা THX জানাইয়েন....

আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য । ধন্যবাদ

জেনে নিন ব্যথাটা কিডনির না কোমরের?

জেনে নিন ব্যথাটা কিডনির না কোমরের?

আমাদের দেশে অনেক রোগী আছেন যারা আসলে জানেন না যে, কোনটি কোমর ব্যথা আর কোনটি কিডনির ব্যথা। 

বেশিরভাগ কোমর ব্যথার রোগী মনে করেন তাদের কিডনিতে সমস্যা হয়েছে। 

তবে কিছু তথ্য বা উপসর্গ জানা থাকলে নিজেই বোঝা যাবে ব্যথাটা কিসের_

#কিডনি_রোগীদের_উপসর্গ : কিডনির ব্যথা সাধারণত মেরুদণ্ড থেকে একটু দূরে ডান বা বাম পাশে হয়। যা পেছনের পাজরের নিচের
অংশ অনূভত হয়। এবং এই ব্যথা নড়াচড়া করে, কোমরের দুই পাশেও যেতে পারে এবং পেছনের নরম
জায়গায় গ্রোয়িনে অনুভূত হতে পারে। রোগী প্রায়ই নিজেকে অসুস্থ এবং দুর্বল বলে মনে করবে, মাঝে মধ্যে বমি বমি ভাব হবে। শরীরে জ্বর জ্বর অনুভব হবে এবং তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যাবে। প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত আসতে পারে,
স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি প্রস্রাব।

#কিভাবে_বুঝবেন_এটি_কোমর_ব্যথা:
কোমর ব্যথা সাধারণত মাংসপেশি, হাড়, ডিস্ক, জয়েন্ট, নার্ভ বা রগ সম্পর্কিত। এটি নির্দিষ্ট এরিয়াতে থাকে। মেরুদণ্ডের নড়াচড়া যেমন
উঠাবসা, সামনে ঝোঁকা, হাঁটা বা দাঁড়ানো একাধারে কাজ বা শুয়ে থাকার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এবং নড়াচড়ার সঙ্গে কমবে- বাড়বে। এ ব্যথায় জ্বর হয় না। কোনো রোগের
কারণে কোমর ব্যথা হলে জ্বর আসতে পারে (যেমন টিউমার) এবং রোগী দুর্বল মনে করে না।

Thursday, 8 May 2014

পড়ুন কাজে লাগবঃ


১. আপনি যখন মোবাইলে কোন নাম্বার ডায়াল করেন তখন কানেকশন পাওয়ার আগ পর্যন্ত মোবাইল তার সর্বোচ্চ শক্তি ব্যাবহার করে। অর্থাৎ এসময় মোবাইল থেকে সর্বোচ্চ রেডিয়েশন হয়। তাই এসময় মোবাইল কানের কাছে না ধরেই রাখাই ভালো।
২. চা পানের পর পর পানি না পান করা উচিত। এতে দাতেঁর মধ্যকার ফাঁক বেড়ে যায়।
৩. দরজার পাশে দাড়িয়ে কান খুচাবেন না। কারণটা আশা করি বলা লাগবেনা।
৪. আপনার টুথব্রাশ প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তর বদলান।
৫. খালি পেটে কলা খাওয়া অনুচিত।
৬. এক মেয়ের সামনে কখনো সম বয়সী অপর মেয়ের প্রশংসা করবেন না। এমনকি আপনার নানুর সামনে আপনার দাদুর প্রশংসা করবেন না।
৭. টি.ভি দেখার সময় বাতি বন্ধ করবেন না। বাতি বন্ধ থাকলে টি.ভি হতে নিক্ষিপ্ত ইলেকট্রন সোজা-সুজি চোখে আঘাত করে।
৮. অনেকেই রুম ঠান্ডা রাখার জন্য ফ্যান চালু রাখেন। এটা একটা ভুল ধারণা। আপনার রুমের তাপমাত্রা সবসময় বাইরের সাথে তাপ বিনিময় করে। তাপ সব সময় উচ্চ তাপমাত্রা হতে নিম্ন তাপমাত্রায় প্রবাহিত হয়। ফলে আপনার রুমের তাপমাত্রা কখনোই একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রার নিচে নামেনা।
৯.বাম হাতে কাউকে কিছু দেবেন না। আপনার কাছে হয়ত ব্যাপারটা খুবই স্বাভাবিক কিন্তু আরেকজনের কাছে তা চরম বেয়াদবি হতে পারে। বিশেষ করে মুরুব্বিদের কাছে। কি দরকার ঝামেলার।
১০. পোড়া স্হানে কখনো বেশিক্ষন বরফ ধরে রাখবেন না। বরফ থেকেও একপ্রকার ইনফেকশান হয়। ঠান্ডা পানি ঢালুন।
১১. যত্র-তত্র টয়লেট ব্যবহার থেকে সাবধান থাকুন। কারণ অনেক যৌন রোগ অস্বাস্হ্যকর টয়লেট থেকে ছড়ায়।
১২. মনিটরের দিকে টানা আধা ঘন্টার বেশি তাকিয়ে থাকবেননা। কিছুক্ষণের জন্য চোখ ব›ধ রেখে চোখকে রেষ্ট দিন।
১৩. ছোট ভাই-বোনের মতামতকে গুরুত্ব দিন। তাকে নিয়ে তার বন্ধুদের সামনে কখনো হাসাহাসি করব।





হেলথ টিপস্
** ঘুমাতে যাওয়ার আগে পানি খেলে তা হার্ট এটাক এর ঝুঁকি অনেকাংশে কমিয়ে দেয় &
আপনার হজমে সাহায্য করবে।

** প্রতিদিন একটি তুলসী পাতা আপনাকে ক্যান্সার থেকে দূরে রাখবে।
** প্রতিদিন একটি লেবু আপনাকে মেদ ভূড়ি থেকে দূরে রাখবে।
** প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ আপনাকে হাড়ের
অসুখ থেকে দূরে রাখবে।
** প্রতিদিন তিন লিটার পানি আপনাকে সকল রোগ থেকে দূরে রাখবে

Tuesday, 6 May 2014

কিডনি রোগ, প্রতিকার ও প্রতিরোধের উপায়

স্বাস্থ্য ডেস্ক : বর্তমানে আমাদের দেশে কিডনি রোগীর সংখ্যা খুবই দ্রুতগতিতে বাড়ছে, যা আমাদের সাধারণ মানুষের মনে বেশ আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। তাই এ রোগের ব্যাপারে জনসচেতনতা বাড়ানো জরুরি। এরই অংশ হিসেবে কিডনি রোগ বিষয়ে জানতে ডা. ফাহমিদা বেগম এর মুখোমুখি হয় সাপ্তাহিক। তিনি পপুলার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর। আলোচনায় কিডনি রোগ কী, কিডনি কীভাবে আক্রান্ত হয়, এক্ষেত্রে প্রতিকার ও প্রতিরোধসহ অনেক কথাই উঠে আসে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আরিফুর রহমান।
সাপ্তাহিক: প্রথমে জানতে চাই… কিডনি কী? এবং এর কাজ কী?
ডা. ফাহমিদা বেগম: কিডনি আমাদের শরীরের অতি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। প্রত্যেক মানুষের শরীরে দুটি করে কিডনি থাকে। এর আকার খুব বড় নয় কিন্তু এর কাজ অনেক ব্যাপক। যেমন-
-কিডনি আমাদের শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দেয়। কিডনি অকেজো হলে শরীরে দূষিত পদার্থ জমে যায় ফলে নানান উপসর্গ দেখা দেয়।
-কিডনি গুরুত্বপূর্ণ হরমোন তৈরি করে যা শরীরের অন্যান্য ফাংশন নিয়ন্ত্রণ করে। যেমন- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা, শরীরে রক্ত তৈরি করা। তাই কিডনি অকেজো হলে শরীরে রক্তশূন্যতা দেখা দেয় এবং রক্তচাপ বেড়ে যায়।
-কিডনি আমাদের শরীরে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ এবং ইলেক্ট্রোলাইট (ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, পটাশিয়াম)-এর সমতা রক্ষা করে। কিডনি কাজ না করলে পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায় যেটা জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
সাপ্তাহিক: কিডনি রোগের লক্ষণসমূহ কী কী?
ডা. ফাহমিদা বেগম: কিডনি রোগ নানান ধরনের হয়ে থাকে এবং এর লক্ষণসমূহ নির্ভর করে রোগের ধরনের ওপর। যেমন- কিডনির ইনফেকশন হলে সাধারণত জ্বর আসে। কোমরের পেছনে ব্যথা হয় এবং প্রস্রাবে জ্বালাও হতে পারে। তাছাড়া অল্প বা অতিরিক্ত প্রস্রাব হওয়া, প্রস্রাবে রক্ত যাওয়া। শরীর ফুলে যাওয়া, দুর্বল লাগা, উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্ট, খাবারের অরুচি, বমি বমি ভাব, ওজন কমে যাওয়া, শরীরে চুলকানি এর সবই কিডনি রোগের লক্ষণ হতে পারে।
তবে অনেক সময় প্রাথমিক পর্যায়ে এ রোগের কোনও লক্ষণ না-ও থাকতে পারে এবং এটা শুধু পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমেই ধরা পড়ে।
সাপ্তাহিক: কিডনি রোগের ধরন ও তার প্রতিকার সম্পর্কে জানতে চাচ্ছি।
ডা. ফাহমিদা বেগম: কিডনি রোগ সাধারণত দুই প্রকারের হয়ে থাকে। ১) একিউট কিডনি ইনজুরি (একেআই) এবং ২) ক্রনিক কিডনি ডিজিস (সিকেডি)।
যেসব রোগী হঠাৎ করে কিডনি রোগে আক্রান্ত হন তাদের আমরা একিউট কিডনি ইনজুরি বলে থাকি। সময়মতো যথাযথ চিকিৎসার মাধ্যমে এ রোগের পুরোপুরি নিরাময় সম্ভব। যেসব কারণে একিউট কিডনি ইনজুরি হয়ে থাকে, তাদের মধ্যে অন্যতম কারণগুলো হলো- ১) ডায়রিয়ার মাধ্যমে শরীরে পানিশূন্যতা ২) যে কোনও কারণে শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়া ৩) সেপটিক শক ৪) ভলটারিন জাতীয় ব্যথার ঔষধ এবং এমাইনোগ্লাইকোসাইড জাতীয় এন্টিবায়োটিক সেবন ইত্যাদি।
এ রোগে আক্রান্ত রোগীদের অনেক সময় সাময়িক ডায়ালাইসিসও লাগতে পারে কিন্তু পরবর্তীতে তাদের কিডনি পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।
যেসব কিডনি রোগ ধীরে ধীরে (মাস বা বছরের মধ্যে) কিডনির ক্ষতি করে তাদের ক্রনিক কিডনি ডিজিস বলা হয়।
দীর্ঘদিন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ অথবা গ্লোমেরুলোনেফ্রাইটিস থাকার কারণে ক্রনিক কিডনি ডিজিস হতে পারে। এ রোগে আক্রান্ত রোগীরা নিয়মিত চিকিৎসার মাধ্যমে তাদের রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন কিন্তু তাদের কিডনি পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে না। একপর্যায়ে তাদের নিয়মিত ডায়ালাইসিস অথবা কিডনি সংযোজনের মাধ্যমে ভালো থাকতে হয়। এ চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীরা পুরোপুরি সুস্থ জীবন যাপন করতে পারেন, যদিও চিকিৎসা একটু ব্যয়বহুল।
সাপ্তাহিক: কিডনি রোগ কি প্রতিরোধ করা সম্ভব?
ডা. ফাহমিদা বেগম: হ্যাঁ, অনেক কিডনি রোগই প্রতিরোধ করা যায়। যেমন- যাদের ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ আছে তারা যদি নিয়মিত চিকিৎসার মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণে রাখেন তাহলে কিন্তু কিডনি রোগ অনেকাংশে এড়ানো যায়।
আবার কিছু কিছু কিডনি রোগ হয় অনিয়ন্ত্রিত ওষুধ সেবনের মাধ্যমে, যেমন আমাদের বেশিরভাগ মানুষেরই কিছু না কিছু জয়েন্ট পেইন থাকে, যার বেশিরভাগই বিভিন্ন ব্যায়াম এবং ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। কিন্তু, আমরা অনেকেই তা করি না। এমন অনেক লোক আছেন, যারা মাসের পর মাস ব্যথার ওষুধ খেয়ে যাচ্ছেন। এটাও কিডনি ফেইলিওরের একটি অন্যতম কারণ। আজকাল যেটি বেশি ভয়ের কারণ সেটি হচ্ছে, কেমিকেলযুক্ত খাবার। আমরা যা-ই খাই না কেন, তা রক্তের মাধ্যমে কিডনিতে গিয়ে পৌঁছায় এবং কিডনি তা ফিল্টার করে। এইসব দূষিত পদার্থ ফিল্টার করতে করতে একসময় বেচারা কিডনি নিজেই দুর্বল হয়ে যায়।
দুর্ভাগ্যবশত কিছু কিছু কিডনি রোগ আছে যাতে আমাদের কারও কোনো হাত নেই। যেমন অটোইমিউন গ্লোমেরুলোনেফ্রাইটিস, হেরিডিটারি কিডনি ডিজিস যেমন, পলিসিসটিক কিডনি ইত্যাদি। কাজেই এর থেকে পরিত্রাণের কোনো উপায় নেই।
অতএব আমাদের মনে রাখতে হবে ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা দরকার। যখন তখন ব্যথার ওষুধ এবং এন্টিবায়োটিক সেবন পরিহার করতে হবে। সুস্থ খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। সময়মতো চিকিৎসার মাধ্যমে কিছু কিছু কিডনি রোগ পুরোপুরি ভালো হয়ে যায়।

দিনের বেলা প্রায়ই তন্দ্রাচ্ছন্ন থাকা নারীদের হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি!



স্বাস্থ্য ডেস্ক :যে নারীরা দিনের বেলা প্রায়ই তন্দ্রাচ্ছন্ন বা ঘুম ঘুম ভাব বোধ করেন, তাদের হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকিতে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বাড়তে থাকে। আর সেটা হয় তাদের দেহাভ্যন্তরীণ কোন পরিবর্তনের কারণেই। বিস্তৃত পরিসরে পরিচালিত নতুন এক গবেষণায় এমন উদ্বেগজনক তথ্য বেরিয়ে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ৮৪ হাজারেরও বেশি নারীর ওপর এ গবেষণাটি চালানো হয়। যারা দিনে ঘুমের ঘোর অনুভব করেন, তাদের ক্ষেত্রে এ ঝুঁকিটা দ্বিগুণেরও বেশি। 

তবে ঝুঁকি বাড়ার ক্ষেত্রে তন্দ্রাচ্ছন্ন ভাবটা কোন কারণ নয়, বরং এটিকে উপসর্গ বলেই ব্যাখ্যা করেছেন গবেষকরা। এর জন্য দায়ী হতে পারে অন্য কোন রোগ কিংবা নিদ্রাহীনতা কিংবা অনিয়মিত বা অপর্যাপ্ত ঘুম। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। প্রধান গবেষক জেমসের মতে, অপর্যাপ্ত ঘুম, রাতের শিফটে কাজ, নাক ডাকা কিংবা ভাঙা ভাঙা ঘুমের সঙ্গে দিনের বেলার তন্দ্রাভাবের ওতপ্রোত সম্পর্ক রয়েছে। 

আর যাদের এ সমস্যার যে কোন একটি রয়েছে, তাদের বিপাকীয় প্রক্রিয়ায় সমস্যা সৃষ্টি হয়, যা থেকে ডায়াবেটিস হতে পারে। আর ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে, স্ট্রোক ও হার্ট-অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। নিউ ইয়র্কের কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জন্সে গবেষণাটি পরিচালিত হয়।

জেনে নিন প্রস্রাবের রঙ দেখে আপনার স্বাস্থ্য ঝুঁকি!


SHARE THIS
indexনিউজ ডেস্ক : ইদানিং কোন কারণে ডাক্তারের কাছে গেলেই অন্যান্য অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষার সাথে ডাক্তার কিন্তু আপনাকে প্রস্রাব বা ইউরিন টেস্টও দিয়ে থাকেন। এটি কিন্তু অযথা নয় বরং অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ। কেননা আপনার দেহের নানা পরিবর্তন বা অসুখের বিষয় ধরা পড়ে আপনার প্রস্রাবের পরীক্ষার মাধ্যমেই। আর আপনি নিজেও কিন্তু ঘরে বসেই জেনে নিতে পারেন অনেক অসুখের অগ্রিম বার্তা। কীভাবে? আপনার প্রস্রাবের রঙ দেখে। দেখে নিন আপনার প্রস্রাবের রঙ কেমন হলে আপনি কোন ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন।
১। স্বচ্ছ/সাদাঃ
আপনার প্রস্রাব যদি হয় স্বচ্ছ বা সাদা পানির মতন তবে আপনাকে সুস্থই বলা চলে। দেহে পানিশুন্যতা নেই। সুতরাং যে পরিমাণ পানি পান করছেন তা আপনার সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে কাজে দিচ্ছে বলাই বাহুল্য!
২। হালকা হলুদঃ
এটি ততটা ঝুঁকিপূর্ণ নয়। তবে দেহ থেকে টক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থগুলো বেরিয়ে যাবার জন্যে আরো খানিকটা পানি প্রতিদিন খাবার দরকার আছে আপনার।
৩। গাঢ় হলুদঃ
এর অর্থ আপনার শরীর যথেষ্ট পানি পাচ্ছে না। আপনার দেহের পানিশুন্যতা রোধে দ্রুত যথেষ্ট পানি পান করা প্রয়োজন।
৪। বাদামী বা কালচে বাদামী
আপনার প্রস্রাবের রঙ যদি হয় বাদামী বা কালচে বাদামী রঙের তাহলে বুঝতে হবে আপনি হয়তো লিভারের রোগে আক্রান্ত। অথবা চরম মাত্রার পানিশুন্যতাও এর আরেকটি কারণ হতে পারে। দ্রুত ডাক্তার দেখান।
৫। গোলাপী বা লালচেঃ
আপনি যদি সম্প্রতি জাম বা বিট জাতীয় ফল না খেয়ে থাকেন তাহলে বুঝতে হবে আপনার প্রস্রাবের সাথে রক্ত যাচ্ছে। এর নানা কারণ থাকতে পারে। যেমন, কিডনির সমস্যা, মূত্রনালীর সংক্রমণ, টিউমার বা প্রোস্টেটের সমস্যা।
৬। ফেনাযুক্ত প্রস্রাবঃ
সাধারনত কিডনির সমস্যার কারণে ফেনাযুক্ত প্রস্বাব হতে থাকে। এটি যদি নিয়মিত হয়, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
প্রস্রাবের রঙ দেখে মূলত আপনার দেহের পানির ভারসাম্য বুঝতে পারবেন। তবে যদি এতে কোন অস্বাভাবিক কিছু দেখে থাকেন, তবে অবহেলা না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। সুস্থ থাকুন।

Tuesday, 18 March 2014

গর্ভাবস্থায় রক্তশূন্যতা.


গর্ভাবস্থায় রক্তশূন্যতা হওয়ার যথেষ্ট আশঙ্কা থাকে। গর্ভকালীন শরীরে ক্যালরির সঙ্গে লৌহ বা আয়রনের চাহিদাও বৃদ্ধি পায়। চাহিদামাফিক লৌহ পূরণ না হলে এ সময় রক্তশূন্যতা হয়।
স্বাভাবিকভাবেই একজন গর্ভবতী নারীর দেহে রক্তের পরিমাণ ১৫-২০ শতাংশ। রক্তের তরলের পরিমাণ ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পায় এবং শারীরবৃত্তীয় রক্তশূন্যতা হতে পারে। আগে থেকে রক্তশূন্যতা, পুষ্টিহীনতা ও ঘন ঘন সন্তান জন্মদান এই ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয়।
লৌহের অভাবের কারণ
লৌহের বর্ধিত চাহিদা, বমি বমি ভাব, বমি ও ক্ষুধামান্দ্য, ভুল খাদ্যাভ্যাস ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে অপ্রতুল ধারণা, যমজ শিশু গর্ভে ধারণ, অল্প সময়ের ব্যবধানে পুনরায় গর্ভধারণ, গর্ভবর্তী হওয়ার আগে থেকেই লৌহ-স্বল্পতায় ভুগলে।
রক্তশূন্যতার লক্ষণ
শরীর দুর্বল লাগা ও সামান্য পরিশ্রমে ক্লান্তি, মাথা ঝিমঝিম করা, ফ্যাকাসে বিবর্ণ মুখ ও চোখ সাদা হয়ে যাওয়া, জিহ্বা ও মুখে ঘা, রক্তশূন্যতা বেশি হলে বুক ধড়ফড় করা, শ্বাসকষ্ট এবং পা ফুলে যেতে পারে।
কী করবেন
গর্ভধারণের প্রথম থেকেই যথেষ্ট লৌহসমৃদ্ধ খাবার খান, যেমন: কচুশাক, কাঁচা কলা, পেয়ারা, শিম, মটরডাল, বাঁধাকপি, কলিজা, গোশত, খোলসসহ মাছ, যেমন চিংড়ি মাছ।
চিকিৎসকের পরামর্শে প্রথম তিন মাসের পর থেকে নিয়মিত আয়রন ট্যাবলেট সেবন করতে হবে। সাধারণত প্রথম তিন মাসে মাসিক বন্ধ থাকার কারণে রক্তশূন্যতা ততটা প্রকট হয় না এবং এ সময় আয়রন খেলে বমি ভাব ও ক্ষুধামান্দ্য বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। গর্ভকালীন কয়েকবার রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা দেখা দরকার। রক্তশূন্যতা তীব্র আকার ধারণ করলে প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি করে আয়রন ইনজেকশন, এমনকি রক্ত পরিসঞ্চালনেরও দরকার হতে পারে।
ক্ষতিকর প্রভাব
দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট, শরীরে পানি আসা, গর্ভকালীন এবং প্রসব-পরবর্তী সংক্রমণের আশঙ্কা, নির্দিষ্ট সময়ের আগেই শিশু প্রসব, রক্তচাপ বৃদ্ধি পেতে পারে, প্রসব-পরবর্তী রক্তপাত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়, দুগ্ধ উৎপাদন ব্যাহত হয়। আর শিশুর ভ্রূণের বৃদ্ধি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, অপরিপক্ব শিশু প্রসব, জন্মের আগেই জরায়ুতে শিশুর মৃত্যুও হতে পারে
 স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা, ঢাকা মেডিকাল কলেজ ও হাসপাতাল

Wednesday, 12 March 2014

কোরআন পডুন,জীবন গড়ুন



বিশুদ্ধ কোরআন পড়তে এখানে ক্লিক করুন।

আসুন জেনে নেই ১২টি ভেষজ চিকিৎসা পদ্ধতি।

ভেষজ চিকিৎসায় আরোগ্য
প্রযুক্তির আশীর্বাদ হিসেবে গণ্য করা হয় চিকিৎসা ব্যবস্থাকে। এই আধুনিক যুগে ঘরে বসেই আপনি যে কোন রোগ সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে ফেলতে পারেন। প্রাচীনকালে এটা সম্ভব ছিল না। তাহলে রোগ-বালাই হলে মানুষ কী করতো– সেটা একটা প্রশ্নই বটে।
বর্তমানের মতো আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি না থাকলেও প্রাচীনকালে ছিলো ভেষজ বা হারবাল চিকিৎসা পদ্ধতি। সর্বস্বীকৃত এই পুরাতন চিকিৎসা পদ্ধতিই মানুষকে শতাব্দীর পর শতাব্দী সুস্থ রেখেছে।
আসুন জেনে নেই ১২টি ভেষজ চিকিৎসা পদ্ধতি।
১। দাঁত ব্যথায় পেয়ারার পাতা চিবাতে পারেন। পেয়ারার পাতা দাঁত ব্যথা উপশমে দারুণ ভূমিকা রাখে।
২। যাদের শ্বাসকষ্ট আছে তারা বাসক পাতা ও ছাল একসঙ্গে সেদ্ধ করে বেঁটে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। শ্বাসকষ্ট নিরাময় হবে।
৩। তেঁতুল পাতার রস সামান্য পানিতে মিশিয়ে খেলে কৃমির সমস্যা দূর হয়। পেটের কৃমি দূর করতে প্রতিদিন সকালে নাস্তার পর এক চামচ কুঁচানো নারকেল খাবেন, পেটের কৃমি দূর হয়ে যাবে।
৪। বদহজমে নিমের ছাল আদর্শ ঔষধ। এক টুকরো নিমের ছাল এক কাপ পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরদিন খালি পেটে খেলে অজীর্ণ রোগ সেরে যাবে।
৫। মায়ের বুকে দুধের স্বল্পতা থাকলে কলমি শাক খাওয়াতে পারেন। কলমি শাক বেঁটে ২ চামচ রস ঘি দিয়ে সকাল-বিকাল খেলে বুকে দুধ আসবে।
৬। ডালসহ পুদিনা পাতা ৭/৮ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সেই পানি ছেঁকে খেলে পেট ফাঁপা ভালো হবে।
৭। মুখে ব্রণ উঠলে লবঙ্গ বেঁটে লাগিয়ে দিন। দাগসহ ব্রণ মিলিয়ে যাবে।
৮। ঘামের দুর্গন্ধের সমস্যা থাকলে বেল পাতার রস পানির সাথে মিশিয়ে ঘর্মাক্ত স্থান মুছুন। দুর্গন্ধ কমে যাবে।
৯। ঠোঁটের দু’পাশে এবং মুখের ভেতরে অনেক সময় ঘায়ের মত হয়। গাব ফলের রসের সাথে অল্প পানি মিশিয়ে কয়েকদিন মুখ ধুলে ঘা সেরে যায়।
১০। অনেকের নাক দিয়ে রক্ত পড়ার সমস্যা আছে। ডাব খেলে অথবা খালি পেটে নারিকেল খেলে নাক দিয়ে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায়।
১১। লিভারের ব্যাথা সারাতে নিম দারুণভাবে উপযোগী। ১ গ্রাম নিমের ছাল, ১/২ গ্রাম কাঁচা হলুদ ও ১ গ্রাম খানিক শুকনো আমলকির গুঁড়োর সাথে মিশিয়ে খালি পেটে খেলে এক সপ্তাহের মধ্যে ব্যথা দূর হয়ে যাবে।
১২। সাধারণত কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে শিশুরা রাতে কান্নাকাটি করে। পরিত্রাণ পেতে গরুর সামান্য গরম দুধের সাথে ২০ ফোঁটা কলমির রস খাওয়ালে কোষ্ঠকাঠিন্য সেরে যাবে। তবে বাচ্চার শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে খাওয়ানো উচিত।

Tuesday, 11 March 2014

কী খেলে ওজন কমবে

কী খেলে ওজন কমবে

যেসব খাবার নিয়ন্ত্রিতভাবে খেলে ওজন বাড়ে না, দেখে নেওয়া যাক সেগুলো:

সকাল: রুটি, কুসুম ছাড়া ডিম ও অল্প তেলে রান্না সবজি খেতে পারেন। এই খাবারগুলো শরীরে শক্তি জোগাবে ঠিকই, কিন্তু মেদ   জমবে না।




মধ্যসকাল: সকালের খাবার শেষে যখন কর্মব্যস্ত দিন শুরু হবে, চলতে-ফিরতে কিছু একটা খেতে ইচ্ছে করলে ফলেই তৃপ্ত থাকুন। নানা বর্ণ-গন্ধের ফল আছে বাজারে। সেই ক্ষেত্রে টক ফলকেই বেছে নিন।


দুপুর: দুপুরে পরিমাণমতো ভাত, এক টুকরো মাছ, পাতলা ডাল আর সবজি রাখুন। তবে অনেক ভাত খাওয়া ঠিক হবে না। ওজন কমাতে চাইলে ভাত কমিয়ে দিন। ভাত দিয়ে সবজি নয়, সবজি দিয়ে অল্প ভাত খান। মাছ খাওয়া যাবে। কারণ, এর প্রোটিন শরীরের জন্য খুব দরকারি।

বিকেল: বিকেলে খিদে তো লাগবেই। আর ওজন কমাতে খিদে পেটে মুখ গোমড়া করে বসে থাকবেন, তা কী করে হয়! তার চেয়ে বরং মুড়ি-মুড়কি খান। এতে ওজন বাড়বে না, আবার খিদেও মিটবে।


রাত: রাতে রুটি খেতে পারেন, সঙ্গে মাছ। মাঝেমধ্যে স্বাদের পরিবর্তন আনতে অল্প তেল-মসলায় রান্না কচি মুরগি নিন। অল্প করে এ খাবারগুলো খাওয়ায় পেট তো ভরবে না! আবার খালি পেটে ঘুমও যে আসবে না। তাই পেট ভরাতে সালাদ খান।

Sunday, 23 February 2014

ঔষধের মত কাজ করে যে দারুণ খাবার গুলো!


মাঝে মধ্যেই হাতে পায়ের জয়েন্টে ব্যথা কিংবা মাংসপেশির ব্যথা সহ দেহের নানান ব্যথার কারণে আমরা ব্যাথানাশক ঔষধ খেয়ে থাকি। অনেকেই আছেন যারা ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই এই ধরনের ব্যথানাশক ঔষধ খান। কিন্তু এই সকল ব্যথানাশক ঔষধের রয়েছে অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। আমরা নিজের অজান্তেই এই সকল ব্যথানাশক ঔষধ খেয়ে ক্ষতি করে থাকি নিজেদের। কিন্তু এই ব্যথা সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার রয়েছে বেশ ভালো প্রাকৃতিক উপাদান। আজকে আপনাদের জন্য রইল এমনই একটি খাবার তালিকা। এই তালিকার খাবারগুলো ব্যথানাশক ঔষধের মত কাজ করে ব্যথা দূর করবে কম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই।
আদা

প্রতিদিন খাবার তালিকায় আদা রাখুন। রান্নায় ব্যবহার করুন আদা। আদা মাংসপেশির ব্যথা এবং হারের জয়েন্টের ব্যথা দূর করতে বেশ কার্যকরী। এছাড়াও যাদের মাথা ব্যথা হয় ঘন ঘন তারা কাঁচা আদা চিবিয়ে খেতে পারেন। ব্যথা দূর হবে।

ওটস

ওটসে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ম্যাগনেসিয়াম ও জিংক। এটি নারীদের মাসিকের সময় হওয়া ব্যথা দূর করতে অত্যন্ত কার্যকরী। যারা মাসিকের ব্যথায় ভুগে থাকেন তারা নিয়মিত ওটস খেতে পারেন।

রসুন

রসুনের রয়েছে হাড়ের জয়েন্টের ব্যথা দূর করার অসাধারণ ক্ষমতা। এছাড়াও রসুনের রস ত্বকের র‍্যাশের যন্ত্রণা দূর করতেও বেশ কার্যকরী।

আঙুর

প্রতিদিন ১ কাপ পরিমাণ আঙুর খেলে মেরুদণ্ডের ব্যথা দূর করতে পারেন চিরতরে। আঙুর দেহের রক্ত সঞ্চালন দ্রুত করে ফলে মেরুদণ্ডের ব্যথা দ্রুত দূর করতে সহায়তা করে।

লবঙ্গ

দাঁতের ব্যথায় আক্রান্ত হলে চিন্তার কিছুই নেই। দাঁতের ব্যথা দূর করতে চাইলে একটি লবঙ্গ নিয়ে চিবিয়ে ফেলুন। তাৎক্ষণিক দাঁতের ব্যথা উপশমে লবঙ্গের জুড়ি নেই।

Monday, 27 January 2014

জেনে নিন “কখন” জন্মবিরতিকরণ পিল ডেকে আনে বিপদ

জন্মবিরতিকরণ পিলসারা পৃথিবীতে জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহৃত সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সফল পদ্ধতি হলো জন্মবিরতিকরণ পিল। এই পিলগুলো মূলত ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন নামক দুইটি হরমোনের বিভিন্ন অনুপাতের সংমিশ্রন। এইসব সমন্বিত পিলের জন্মনিয়ন্ত্রণের সাফল্যও খুব বেশি, শতকরা প্রায় ৯৮ শতাংশের কাছাকাছি। জন্মনিয়ন্ত্রণ ছাড়াও মেয়েদের বিভিন্ন রোগে (যেমনঃ স্তনের বিভিন্ন নন-ক্যান্সারাস টিউমার, অনিয়মিত মাসিক, ডিম্বাশয়ের টিউমার বা সিস্ট, অস্বাভাবিক গর্ভধারণ ইত্যাদি) ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয় এসব পিল। কিন্তু তারপরও প্রতিটি ঔষধের যেমন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে, আর শরীরের অনেক অবস্থাতেই খাওয়া যায় না অনেক ঔষধ- জন্মনিয়ন্ত্রক পিলও তার ব্যতিক্রম নয়
তাই নব-দম্পতি বা যে কেউই যদি পরিবার পরিকল্পনার জন্য ডাক্তারের কাছে যান, তবে অবশ্যই নির্দিষ্ট কিছু জিনিসের কথা ডাক্তারকে জানাতে ভুলবেন না।

যেসব অবস্থায় জন্মবিরতিকরণ পিল খাওয়া একেবারেই নিষিদ্ধঃ

ক্যান্সার-
বিশেষত স্তন কিংবা যৌনাঙ্গের ক্যান্সার হলে। গর্ভাশয় বা জরায়ুমুখের ক্যান্সারের ক্ষেত্রেও একথা প্রযোজ্য। কারণ ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন সমন্বিত পিল ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
যকৃতের কোন অসুখ-
আপনার লিভারে কোন অসুখ থাকলে বা পূর্বে হেপাটাইটিস বি বা সি হওয়ার কোন ইতিহাস থাকলে তা অবশ্যই ডাক্তারকে জানান। আপনার লিভারে পূর্বে কোন অপারেশন হয়ে থাকলে তাও জানিয়ে নিন ডাক্তারকে।
হৃদরোগ-
বিভিন্ন হৃদরোগে জন্মবিরতিকরণ পিল নিষিদ্ধ বলে চিকিৎসকেরা মনে করেন। এর মাঝে রয়েছে থ্রম্বোএমবলিজম (রক্তনালিকায় কোন কিছু জমে নালী বন্ধ হয়ে যায়)। বিভিন্ন থ্রম্বোএমবলিক ডিজঅর্ডারের মাঝে রয়েছে স্ট্রোক, হার্টে বা আর্টারিতে কোন ব্লক থাকা ইত্যাদি। তাই হৃদরোগের কোন চিকিৎসা নিয়ে থাকলেই সেটা পরামর্শ নেবার সময় ডাক্তারকে জানিয়ে রাখুন।
রক্তে লিপিডের মাত্রা-
ইস্ট্রোজেন সব সময়ই রক্তে লিপিডের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই যাদের অনেক আগে থেকেই রক্তে লিপিডের পরিমান বেশি, জন্মবিরতিকরণ পিল খাওয়ার আগে তাদের জন্য বাড়তি সচেতনতা জরুরি। বিশেষত যাদের শরীরে জন্মগতভাবেই লিপিডের মাত্রা উচ্চ- তাদের জন্য এইসব পিল একেবারেই নিষিদ্ধ।
অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ-
যদি আপনার যোনিপথে অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ/ রক্তস্রাব হয় এবং তার কারণ না জানা যায়, তবে এর চিকিৎসা হওয়ার আগ পর্যন্ত জন্মবিরতিকরণ পিল খাওয়া অনুচিত।

যেসব সমস্যার সময় পিল খেলেও ডাক্তারের বিশেষ নজরদারি জরুরি-

চল্লিশোর্ধ নারী-
জন্মবিরতিকরণ পিল মূলত তরুণীদের জন্য উপযোগী। তাই চল্লিশোর্ধ কেউ যদি জন্মনিয়ন্ত্রণের এই পদ্ধতি ব্যবহার করতে চান, তবে অবশ্যই তার উচিৎ ডাক্তারের সাথে নিয়মত যোগাযোগ রাখা। কারণ এ বয়সের পরে নারীদের শরীরে হরমোনের নানা ধরণের পরিবর্তন আসে এবং শরীরও দুর্বল হতে থাকে। মেনোপজের সময় এগিয়ে আসার সাথে সাথে হাড়ক্ষয় ও হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ে এ বয়স থেকেই।
ধূমপায়ী পঁয়ত্রিশোর্ধ নারী-
যখন একজন নারী ধূমপায়ী হন বা মদে আসক্ত হন তখন তিনি অনেকগুলো ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার শিকার থাকেন। শুধুমাত্র অভিজাত সমাজে নয়, অনেক দরিদ্র ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন সমাজেও নারীদের ধূমপান করতে দেখা যায়। এসব ধূমপায়ী নারীদের জন্মবিরতিকরণ পিল খেতে দেওয়ার আগে ডাক্তার ও রোগী উভয়কেই সচেতন হতে হবে।
স্তন্যদানকারী নারী-
যদিও ডাক্তাররা বলে থাকেন, বাচ্চাকে নিয়মিত বুকের দুধ খাওয়ালে বাচ্চা জন্ম হবার প্রথম ছয় মাসে নারীদের গর্ভবতী হবার সম্ভাবনা কম থাকে। তবুও অনেকে ঝুঁকি এড়াতে এ সময় জন্মবিরতিকরণ পিল ব্যবহার করার পক্ষপাতি। তবে অনেকেই জানেন না যে পিলের উপাদান ইস্ট্রোজেন মায়ের দুধের পরিমান কমিয়ে দেয়, ফলে শিশু খেতে পায় না। তাই স্তন্যদানকারী মায়েদের জন্য রয়েছে শুধু প্রোজেস্টেরন সমৃদ্ধ বিশেষ পিল। এদেরকে মিনিপিল বা মাইক্রোপিলও বলা হয়ে থাকে। অনেকে না জেনেই বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় সমন্বিত পিল খেয়ে বাচ্চাকে যেমন বঞ্চিত করেন তেমনি নিজেরও স্বাস্থ্যহানি ঘটান।
তবে মিনিপিল বা মাইক্রোপিলের ক্ষেত্রে বুকের দুধ কমার আশংকা বা হৃদরোগের ঝুঁকি কমলেও এই পিলের কার্যক্ষমতা ইস্ট্রোজেন-প্রোজেস্টেরনের সমন্বিত পিলের চেয়ে কম।
আরও কিছু সমস্যা-
আরও বেশ কিছু স্বাস্থ্য সমস্যায় পিল ব্যবহারের ক্ষেত্রে সচেতন থাকা জরুরি। এর মাঝে রয়েছে কিডনীতে কোন সমস্যা থাকলে, পিত্তথলির পাথর অপারেশন হয়েছে এমন ক্ষেত্রে, মাইগ্রেইনের সমস্যা থাকলে, খিঁচুনী বা মৃগী রোগ হলে, ডায়াবেটিস হলে, অনিয়মিত মাসিক বা মাসিকের সময় প্রচন্ড পেট ব্যথা থাকলে জন্মবিরতিকরণ পিল ব্যবহারে ডাক্তারের বিশেষ পরামর্শ অনুযায়ী জীবন-যাপন করা জরুরি।
আর হ্যাঁ, এই সব অবস্থাই মেয়েদের জন্মবিরতিকরণ পিলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। পুরুষের জন্মবিরতিকরণ পিলও রয়েছে তবে তার কার্যক্ষমতা আর জনপ্রিয়তা এখনও খুব বেশি নয় বলে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়েও খুব বেশি গবেষণা হয়নি।
সবশেষে এটুকুই বলার থাকে যে, অনেকেই অনেক সময় লজ্জাবোধ করে- ডাক্তারের কাছে না গিয়ে অন্য মানুষের কাছ থেকে জন্মবিরতির বিভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণ করে থাকেন। কিন্তু জন্মনিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে নিজের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে দেওয়া কোন কাজের কথা হতে পারে না। তাই ডাক্তারের পরামর্শ নিন, সচেতন থাকুন, সুস্থ্ থাকুন!

Sunday, 26 January 2014

ভাত খাবার পর’ যা করতে মানা?



পৃথিবীর কমপক্ষে তিনশ কোটি মানুষের প্রধান খাবার ভাত ৷ বাংলাদেশীদেরও প্রধান খাবারও এই ভাত। স্বাস্থ্যরক্ষায় ভাত খাবার পর কিছু কাজ হতে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। নিজেকে সুস্থ্য রাখতে মেনে চলুন ওই পাঁচ পরামর্শ।

১. খাবার শেষের পর পরই তাৎক্ষণিকভাবে কোন ফল খাবেন না। এতে গ্যাসট্রিকের সমস্যা হতে পারে। ভাত খাওয়ার এক থেকে দুই ঘন্টা পর, কিংবা এক ঘন্টা আগে ফল খাবেন।

২. ধুমপান করবেন না। আপনি সারাদিনে অনেকগুলো সিগারেট খেলেও যতটুকু না ক্ষতি হয়, ভাত খাবার পর একটি সিগারেট বা বিড়ি তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি করবে আপনার শরীরের। ভাত খাবার পর একটা সিগারেট খাওয়া আর সার্বিকভাবে দশটা সিগারেট খাওয়া ক্ষতির বিবেচনায় সমান বলে মত দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

৩. চা খাবেন না। চায়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ টেনিক এসিড থাকে যা খাদ্যের প্রোটিনের পরিমাণকে ১০০ গুণ বাড়িয়ে তোলে। ফলে খাবার হজম হতে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশী সময় লাগে।

৪. বেল্ট কিংবা প্যান্টের কোমর ঢিলা করবেন না। খাবার পরপরই বেল্ট কিংবা প্যান্টের কোমর ঢিলা করলে অতি সহজেই ইন্টেসটাইন (পাকস্থলি) থেকে রেক্টাম (মলদ্বার) পর্যন্ত খাদ্যনালীর নিম্নাংশ বেকে যেতে পারে, পেঁচিয়ে যেতে পারে অথবা ব্লকও হয়ে যেতে পারে। এ ধরণের সমস্যাকে ইন্টেস্টাইনাল অবস্ট্রাকশন বলা হয়। কেউ বেশি খেতে চাইলে আগে থেকেই কোমরের বাধন লুজ করে নিতে পারেন।

৫. স্নান বা গোসল করবেন না। ভাত খাবার পরপরই স্নান করলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে পাকস্থলির চারপাশের রক্তের পরিমাণ কমে যেতে পারে যা পরিপাক তন্ত্রকে দুর্বল করে ফেলবে, ফলে খাদ্য হজম হতে সময় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী লাগবে।

জানি লাইক দিবেন না। কারন আমাদের লিখার কোন মূল্য নেই আপনাদের কাছে। লাইক দেন বা নাই দেন আপনারা আমাদের পোস্টগুলো পড়ে উপকৃত হলেই আমাদের লিখা স্বার্থক। কারন আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য।

কিডনিতে পাথরের ধরনের ওপর নির্ভর করে চিকিৎসা

পেছন কোমরে ব্যথা, বারবার প্রস্রাবে সংক্রমণ—এ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে গিয়ে ধরা পড়ল কিডনির পাথর। এরপর তা অনেককেই বিচলিত করে। চিকিৎসা না করলে ধীরে ধীরে কিডনির কার্যক্ষমতা কমতে থাকে এবং একসময় একেবারেই অকার্যকর হয়ে যেতে পারে। এ কার্যক্ষমতা কমতে থাকা নির্ভর করে পাথরের ধরন, অবস্থান, আকৃতি এবং সঠিক চিকিৎসা ও পরবর্তী প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ওপর। তাই সঠিক সময়ে সঠিক ব্যবস্থা নিলে কার্যক্ষমতা অনেকাংশে রোধ করা যায়।কারণকিডনিতে পাথর হওয়ার প্রকৃত কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে কিছু কারণ, যেমন কিডনিতে বারবার সংক্রমণ এবং যথোপযুক্ত চিকিৎসা না করা, দৈনিক অল্প পানি গ্রহণ; খাবারে অধিক লবণ, অধিক আমিষ গ্রহণ এবং কম ফলফলাদি ও শাকসবজি খাওয়া, বেশি বা খুব কম ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার, জন্মগত ও বংশগত ত্রুটির জন্যও পাথর হতে পারে।
উপসর্গ
অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোনো উপসর্গ না-ও থাকতে পারে। মাঝে মাঝে প্রস্রাবের সঙ্গে ছোট ছোট পাথর যাওয়া, হঠাৎ তলপেটে, নিচের পেটের দুই পাশে, বাঁ কোমরে তীব্র ব্যথা, রক্তবর্ণেও লাল প্রস্রাব, ব্যথা, জ্বালাপোড়া থাকতে পারে। বমি বমি ভাব বা বমিও হতে পারে। হতে পারে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর।
চিকিৎসা
চিকিৎসানির্ভর করে পাথরের অবস্থান, আকার, ধরন, কিডনির কার্যকারিতা এবং প্রস্রাবের পথে প্রতিবন্ধকতার ওপর। কিছু ক্ষেত্রে পাথর অপসারণের জন্য অস্ত্রোপচার বা যন্ত্রের মাধ্যমে পাথর ভেঙে বের করা হয়। কিছু ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার না করে ওষুধ সেবন করার মাধ্যমে পাথর বের করা বা পাথর আর বড় না হওয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। অস্ত্রোপাচারের পরও আবার পাথর হতে পারে। সে ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি ওষুধ সেবন করলে সুফল পাওয়া যেতে পারে।
প্রতিরোধ
 যথেষ্ট পরিমাণে পানি পান করবেন।
 বারবার প্রস্রাবে সংক্রমণ হলে সতর্ক হোন।
 কখনোই প্রস্রাব আটকে রাখবেন না।
 লবণ কম, আমিষ মধ্যম পরিমাণে খেতে হবে।
 কালসিয়ামযুক্ত খাবার খাওয়া যাবে কিন্তু প্রয়োজন ব্যতীত ক্যালসিয়াম ওষুধ ও ভিটামিন ডিযুক্ত ওষুধ না খাওয়াই ভালো।
 বেশি অক্সালেটযুক্ত খাবার যেমন পালংশাক, বীট, মিষ্টি আলু, চা, চকলেট এবং সয়াজাতীয় খাদ্য পরিমিত খাবেন।
 শাকসবজি বেশি করে খেতে হবে।
 মেডিসিন বিভাগ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতা

Thursday, 23 January 2014

কুমড়ায় ক্যান্সার কাট, ত্বকও ফিটফাট

কুমড়ায় ক্যান্সার কাট, ত্বকও ফিটফাট
সুস্বাস্থ্য ডেস্ক 
একজন মেয়ের সবচেয়ে বড় বন্ধু কে? ভরা সভায় কথাটা জিজ্ঞাসা করলেন এক ডাক্তার। সবাই অবাক, ত্বকের কথা বলতে গিয়ে কেন এই প্রশ্ন? কিছুক্ষণ পরেই উত্তর পাওয়ার পর সবাই মাথা নেড়ে সম্মতি দিলেন।

কুমড়াই কিনা মেয়েদের সবচেয়ে বড় বন্ধু হতে পারে। স্তন ক্যান্সার থেকে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা, হাড়ের জোর বাড়ানো থেকে শরীরে ভিটামিনের সঠিক জোগান- সবই মেলে এই নিত্যসাথী কুমড়া থেকে।
আসলে কুমড়াকে সেভাবে পাত্তা দেওয়ার রেওয়াজটা সেভাবে কারো মধ্যেই নেই। হাতের কাছে এমন জিনিস নিত্যই পাওয়া যায়। তাই বুঝি এই কুমড়ার পাত্তা নাই কারোর কাছে! কিন্তু এক নজরে দেখে নেওয়া যাক। তাহলেই বুঝবেন কেন আপনি কুমড়াকে এত পাত্তা দেবেন।

প্রথমেই দিব্যি বলে দেওয়া যায়, স্তন ক্যান্সার রক্ষা করতে কুমড়ার তুলনা নেই।

এমনকি রক্তের চাপ কমাতে, শিরা, পেশী, স্নায়ু ও হাড়কে সতেজ রাখতেও কুমড়ার জুড়ি মেলা ভার। হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচতে কুমড়ো অতি প্রয়োজনীয় জিনিস।

শীতকালে ত্বক শুস্ক থাকার কারণে নামি-দামি অনেক ক্রিম মাখছেন, কিন্তু ঔজ্বল্য ফিরছে না। আপনি কুমড়ার খোসা বেঁটে মাখুন। তারপর দেখুন আপনার ত্বক কী বলছে।
শীতকালে ত্বকে ভিটামিন এ-র অভাব ভীষণভাবে দেখা যায়। এই জন্য ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে। কিন্তু কুমড়া এমন একটা সবজি যাতে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এ উপাদান আপনার শরীরে ভিটামিন-এ-তে পরিণত হয়।

আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় ভাইরাসজনিত রোগ থেকে রেহাই পেতে পারেন। নিয়মিত কুমড়া খেলে আলফা ক্যারোটিন, বেটা ক্যারোটিন, ভিটামিন-সি, লোহা এবং প্রচুর পরিমাণে ভিটামিনও পেতে পারেন।

আপনার দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে গেলেও খেতে পারেন কুমড়া। কুমড়াতে ক্যারোটেনোয়েড অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট (lutein and beta cryptoxanthin) থাকে, যা আপনার চোখের ছানি পড়ার হাত থেকে দূরে রাখে।

হার্ট অ্যাটাক : প্রয়োজন সাবধানতা

হার্ট অ্যাটাক : প্রয়োজন সাবধানতা
সুস্বাস্থ্য ডেস্ক 
হৃদপিণ্ডের কোনো অংশে, যেমন পেশীতে যদি অক্সিজেনপূর্ণ রক্ত সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয়, তখন হার্ট অ্যাটাক হয়। যদি যথাসময়ে সেই রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করা যায় তবেই আবার সব স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। আর যদি না যায়, তাহলে হৃদপিণ্ডের ওই অংশ সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে মানুষের মত্যু পয়ন্ত ঘটতে পারে।
উপসর্গ
হার্ট অ্যাটাকে সবার ক্ষেত্রে একই রকম উপসর্গ নাও হতে পারে। অনেক সময় কোনোরকম উপসর্গ ছাড়াই হার্ট অ্যাটাক হয়। একে নীরব হার্ট অ্যাটাক বলে।
তবে সাধারণত নিম্নোক্ত উপসর্গ দেখা যায়-
  • বুকে চাপ চাপ ব্যাথা বা এর আগে অন্য কোনো কারণে বুকব্যাথা থাকলে তার পরিবর্তন হওয়া এবং অন্য ধরনের ব্যাথা অনুভুত হওয়া। ব্যাথার স্থায়িত্বকাল কয়েক মিনিট হতে কয়েক ঘণ্টাও হতে পারে। ব্যথার তীব্রতা কম বা অনেক বেশিও হতে পারে। অনেক সময় পেটে গ্যাস হলে যেমন ব্যথা হয় এখানেও তেমন ব্যথা হতে পারে।
  • শরীরের উপরের অংশে অস্বস্তি অনুভুত হওয়া। এটা দুই হাত বা যে কোন একহাতে হতে পারে। এছাড়া পিঠে, ঘাড়ে, মুখের চোয়ালে, পেটের উপরের অংশে ব্যাথা হতে পারে।
  • বুক ব্যাথার সাথে সাথে বা তার আগে থেকেই শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়া।
  • বমি বমি ভাব হওয়া।
  • ঘুমের সমস্যা হওয়া, তেমন কোনো পরিশ্রম ছাড়াই ক্লান্তি অনুভব।
হার্ট অ্যাটাক হবার সঙ্গে সঙ্গে করণীয়-
হাসপাতালে অবশ্যই যোগাযোগ করবেন বা একজন ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলবেন। এ ছাড়াও বেশ কিছু উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে, যেমন –
  • অক্সিজেন নেওয়া
  • অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট খাওয়া
  • নাইট্রোগ্লিসারিন স্প্রে নেওয়া
  • বুকের ব্যথার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া
  • উচ্চ রক্তচাপ থাকলে তা কমানোর জন্য ওষুধ খাওয়া
হার্ট অ্যাটাক একবার হয়ে যাবার পর করণীয়-
  • চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া ও সুস্থ জীবনযাপনের অভ্যেস গড়ে তোলা। শাকসবজি, ফলমূল বেশি করে খাওয়া
  • ধূমপান সম্পূর্ণ পরিত্যাগ করা
  • ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা
  • প্রতিদিন খানিক সময় হাঁটাহাঁটি ও ব্যায়াম করা

Monday, 20 January 2014

যে সকল সমস্যায় কালোজিরা বিশেষ ভাবে কার্যকর



১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাঃ কালোজিরা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে যে কোন জীবানুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে দেহকে প্রস্তুত করে তোলে।
২. রক্তের শর্করা কমায়ঃ কালোজিরা ডায়াবেটিক রোগীদের রক্তের শর্করা কমিয়ে ডায়াবেটিক আয়ত্তে রাখতে সহায়তা করে।
৩. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনঃ কালোজিরা নিন্ম রক্তচাপকে বৃদ্ধি এবং উচ্চ রক্তচাপকে হ্রাসের মাধ্যমে শরীরে রক্তচাপ এর স্বাভাবিক মাত্রা সুনিশ্চিত করতে সহায়তা করে।
৪. যৌন ক্ষমতাঃ কালোজিরা নারী-পুরুষ উভয়ের যৌন ক্ষমতা বাড়ায়। এবং কালোজিরা সেবনে স্পার্ম সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, ফলশ্রুতিতে পুরুষত্বহীনতা থেকে মুক্তির সমূহ সম্ভাবনা সৃষ্টি করে।
৫. স্মরণ শক্তি উন্নয়নঃ কালোজিরা মস্তিস্কের রক্ত সঞ্চলন বৃদ্ধির মাধ্যমে স্মরণ শক্তি বাড়িয়ে তলতে সাহায্য করে।
৬. হাঁপানীঃ কালোজিরা হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা সমাধনে সহায়তা করে।
৭. চুল পড়া বন্ধ করেঃ কালোজিরা চুলের গোড়ায় পুষ্টি পৌছে দিয়ে চুলপড়া বন্ধ করে এবং চুল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
৮. রিউমেটিক এবং পিঠে ব্যাথাঃ কালোজিরা রিউমেটিক এবং পিঠে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
৯. মায়ের দুধ বৃদ্ধিঃ কালোজিরা মায়েদের বুকের দুধের প্রবাহ এবং স্থায়ীত্ব বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
১০. শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধিঃ কালোজিরা শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধিতে ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করে।
১১. দেহের সাধারণ উন্নতিঃ নিয়মিত কালোজিরা সেবনে শরীরের প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে সতেজ করে ও সার্বিকভাবে স্বস্থ্যের উন্নতি সাধন করে।

পোস্টে নিয়মিত লাইক না দিলে আমরা আপনার ওয়াল থেকে হারিয়ে যাবো। নতুন কিছু জানলে লাইক দিন। শেয়ার করে বন্ধুদের দেখান। নিজে জানুন, অন্যকেও জানান। আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের
কাম্য। ধন্যবাদ।