Tuesday, 18 March 2014

গর্ভাবস্থায় রক্তশূন্যতা.


গর্ভাবস্থায় রক্তশূন্যতা হওয়ার যথেষ্ট আশঙ্কা থাকে। গর্ভকালীন শরীরে ক্যালরির সঙ্গে লৌহ বা আয়রনের চাহিদাও বৃদ্ধি পায়। চাহিদামাফিক লৌহ পূরণ না হলে এ সময় রক্তশূন্যতা হয়।
স্বাভাবিকভাবেই একজন গর্ভবতী নারীর দেহে রক্তের পরিমাণ ১৫-২০ শতাংশ। রক্তের তরলের পরিমাণ ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পায় এবং শারীরবৃত্তীয় রক্তশূন্যতা হতে পারে। আগে থেকে রক্তশূন্যতা, পুষ্টিহীনতা ও ঘন ঘন সন্তান জন্মদান এই ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয়।
লৌহের অভাবের কারণ
লৌহের বর্ধিত চাহিদা, বমি বমি ভাব, বমি ও ক্ষুধামান্দ্য, ভুল খাদ্যাভ্যাস ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে অপ্রতুল ধারণা, যমজ শিশু গর্ভে ধারণ, অল্প সময়ের ব্যবধানে পুনরায় গর্ভধারণ, গর্ভবর্তী হওয়ার আগে থেকেই লৌহ-স্বল্পতায় ভুগলে।
রক্তশূন্যতার লক্ষণ
শরীর দুর্বল লাগা ও সামান্য পরিশ্রমে ক্লান্তি, মাথা ঝিমঝিম করা, ফ্যাকাসে বিবর্ণ মুখ ও চোখ সাদা হয়ে যাওয়া, জিহ্বা ও মুখে ঘা, রক্তশূন্যতা বেশি হলে বুক ধড়ফড় করা, শ্বাসকষ্ট এবং পা ফুলে যেতে পারে।
কী করবেন
গর্ভধারণের প্রথম থেকেই যথেষ্ট লৌহসমৃদ্ধ খাবার খান, যেমন: কচুশাক, কাঁচা কলা, পেয়ারা, শিম, মটরডাল, বাঁধাকপি, কলিজা, গোশত, খোলসসহ মাছ, যেমন চিংড়ি মাছ।
চিকিৎসকের পরামর্শে প্রথম তিন মাসের পর থেকে নিয়মিত আয়রন ট্যাবলেট সেবন করতে হবে। সাধারণত প্রথম তিন মাসে মাসিক বন্ধ থাকার কারণে রক্তশূন্যতা ততটা প্রকট হয় না এবং এ সময় আয়রন খেলে বমি ভাব ও ক্ষুধামান্দ্য বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। গর্ভকালীন কয়েকবার রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা দেখা দরকার। রক্তশূন্যতা তীব্র আকার ধারণ করলে প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি করে আয়রন ইনজেকশন, এমনকি রক্ত পরিসঞ্চালনেরও দরকার হতে পারে।
ক্ষতিকর প্রভাব
দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট, শরীরে পানি আসা, গর্ভকালীন এবং প্রসব-পরবর্তী সংক্রমণের আশঙ্কা, নির্দিষ্ট সময়ের আগেই শিশু প্রসব, রক্তচাপ বৃদ্ধি পেতে পারে, প্রসব-পরবর্তী রক্তপাত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়, দুগ্ধ উৎপাদন ব্যাহত হয়। আর শিশুর ভ্রূণের বৃদ্ধি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, অপরিপক্ব শিশু প্রসব, জন্মের আগেই জরায়ুতে শিশুর মৃত্যুও হতে পারে
 স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা, ঢাকা মেডিকাল কলেজ ও হাসপাতাল

Wednesday, 12 March 2014

কোরআন পডুন,জীবন গড়ুন



বিশুদ্ধ কোরআন পড়তে এখানে ক্লিক করুন।

আসুন জেনে নেই ১২টি ভেষজ চিকিৎসা পদ্ধতি।

ভেষজ চিকিৎসায় আরোগ্য
প্রযুক্তির আশীর্বাদ হিসেবে গণ্য করা হয় চিকিৎসা ব্যবস্থাকে। এই আধুনিক যুগে ঘরে বসেই আপনি যে কোন রোগ সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে ফেলতে পারেন। প্রাচীনকালে এটা সম্ভব ছিল না। তাহলে রোগ-বালাই হলে মানুষ কী করতো– সেটা একটা প্রশ্নই বটে।
বর্তমানের মতো আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি না থাকলেও প্রাচীনকালে ছিলো ভেষজ বা হারবাল চিকিৎসা পদ্ধতি। সর্বস্বীকৃত এই পুরাতন চিকিৎসা পদ্ধতিই মানুষকে শতাব্দীর পর শতাব্দী সুস্থ রেখেছে।
আসুন জেনে নেই ১২টি ভেষজ চিকিৎসা পদ্ধতি।
১। দাঁত ব্যথায় পেয়ারার পাতা চিবাতে পারেন। পেয়ারার পাতা দাঁত ব্যথা উপশমে দারুণ ভূমিকা রাখে।
২। যাদের শ্বাসকষ্ট আছে তারা বাসক পাতা ও ছাল একসঙ্গে সেদ্ধ করে বেঁটে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। শ্বাসকষ্ট নিরাময় হবে।
৩। তেঁতুল পাতার রস সামান্য পানিতে মিশিয়ে খেলে কৃমির সমস্যা দূর হয়। পেটের কৃমি দূর করতে প্রতিদিন সকালে নাস্তার পর এক চামচ কুঁচানো নারকেল খাবেন, পেটের কৃমি দূর হয়ে যাবে।
৪। বদহজমে নিমের ছাল আদর্শ ঔষধ। এক টুকরো নিমের ছাল এক কাপ পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরদিন খালি পেটে খেলে অজীর্ণ রোগ সেরে যাবে।
৫। মায়ের বুকে দুধের স্বল্পতা থাকলে কলমি শাক খাওয়াতে পারেন। কলমি শাক বেঁটে ২ চামচ রস ঘি দিয়ে সকাল-বিকাল খেলে বুকে দুধ আসবে।
৬। ডালসহ পুদিনা পাতা ৭/৮ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সেই পানি ছেঁকে খেলে পেট ফাঁপা ভালো হবে।
৭। মুখে ব্রণ উঠলে লবঙ্গ বেঁটে লাগিয়ে দিন। দাগসহ ব্রণ মিলিয়ে যাবে।
৮। ঘামের দুর্গন্ধের সমস্যা থাকলে বেল পাতার রস পানির সাথে মিশিয়ে ঘর্মাক্ত স্থান মুছুন। দুর্গন্ধ কমে যাবে।
৯। ঠোঁটের দু’পাশে এবং মুখের ভেতরে অনেক সময় ঘায়ের মত হয়। গাব ফলের রসের সাথে অল্প পানি মিশিয়ে কয়েকদিন মুখ ধুলে ঘা সেরে যায়।
১০। অনেকের নাক দিয়ে রক্ত পড়ার সমস্যা আছে। ডাব খেলে অথবা খালি পেটে নারিকেল খেলে নাক দিয়ে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায়।
১১। লিভারের ব্যাথা সারাতে নিম দারুণভাবে উপযোগী। ১ গ্রাম নিমের ছাল, ১/২ গ্রাম কাঁচা হলুদ ও ১ গ্রাম খানিক শুকনো আমলকির গুঁড়োর সাথে মিশিয়ে খালি পেটে খেলে এক সপ্তাহের মধ্যে ব্যথা দূর হয়ে যাবে।
১২। সাধারণত কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে শিশুরা রাতে কান্নাকাটি করে। পরিত্রাণ পেতে গরুর সামান্য গরম দুধের সাথে ২০ ফোঁটা কলমির রস খাওয়ালে কোষ্ঠকাঠিন্য সেরে যাবে। তবে বাচ্চার শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে খাওয়ানো উচিত।

Tuesday, 11 March 2014

কী খেলে ওজন কমবে

কী খেলে ওজন কমবে

যেসব খাবার নিয়ন্ত্রিতভাবে খেলে ওজন বাড়ে না, দেখে নেওয়া যাক সেগুলো:

সকাল: রুটি, কুসুম ছাড়া ডিম ও অল্প তেলে রান্না সবজি খেতে পারেন। এই খাবারগুলো শরীরে শক্তি জোগাবে ঠিকই, কিন্তু মেদ   জমবে না।




মধ্যসকাল: সকালের খাবার শেষে যখন কর্মব্যস্ত দিন শুরু হবে, চলতে-ফিরতে কিছু একটা খেতে ইচ্ছে করলে ফলেই তৃপ্ত থাকুন। নানা বর্ণ-গন্ধের ফল আছে বাজারে। সেই ক্ষেত্রে টক ফলকেই বেছে নিন।


দুপুর: দুপুরে পরিমাণমতো ভাত, এক টুকরো মাছ, পাতলা ডাল আর সবজি রাখুন। তবে অনেক ভাত খাওয়া ঠিক হবে না। ওজন কমাতে চাইলে ভাত কমিয়ে দিন। ভাত দিয়ে সবজি নয়, সবজি দিয়ে অল্প ভাত খান। মাছ খাওয়া যাবে। কারণ, এর প্রোটিন শরীরের জন্য খুব দরকারি।

বিকেল: বিকেলে খিদে তো লাগবেই। আর ওজন কমাতে খিদে পেটে মুখ গোমড়া করে বসে থাকবেন, তা কী করে হয়! তার চেয়ে বরং মুড়ি-মুড়কি খান। এতে ওজন বাড়বে না, আবার খিদেও মিটবে।


রাত: রাতে রুটি খেতে পারেন, সঙ্গে মাছ। মাঝেমধ্যে স্বাদের পরিবর্তন আনতে অল্প তেল-মসলায় রান্না কচি মুরগি নিন। অল্প করে এ খাবারগুলো খাওয়ায় পেট তো ভরবে না! আবার খালি পেটে ঘুমও যে আসবে না। তাই পেট ভরাতে সালাদ খান।