Sunday, 22 December 2013

গ্যাস্ট্রিক বা এসিডিটির সমস্যা ও সহজ সমাধান!


গ্যাস্ট্রিকগ্যাস্ট্রিক বা এসিডিটির সমস্যা আমাদের দেশে খুবই স্বাভাবিক ব্যপার। অনেককে বছরের প্রায় সময়ই ভূগতে হয় এ সমস্যায়। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে এর প্রতিকার হিসাবে পাওয়া যায় অনেক নামি দামি ওষুধ। কিন্তু আমাদের হাতের কাছের বিভিন্ন প্রকৃতিক জিনিস দিয়ে যদি করা যায় এর নিরাময়, তাহলে বাড়তি টাকা খরচ করার কি দরকার।

আসুন এরকম কিছু উপাদানের কথা জেনে নিইঃ-
লং
যদি আপনি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় জর্জরিত হয়ে থাকেন, তবে লং হতে পারে আপনার সঠিক পথ্য। দুইটি লং মুখে নিয়ে চিবাতে থাকুন, যেন রসটা আপনার ভেতরে যায়। দেখবেন এসিডিটি দূর হয়ে গেছে।
জিরা
এক চা চামচ জিরা নিয়ে ভেজে ফেলুন। এবার এটিকে এমন ভাবে গুড়া করুন যেন পাউডার না হয়ে যায়, একটু ভাঙা ভাঙা থাকে। এই গুড়াটি একগ্লাস পানিতে মিশিয়ে প্রতিবার খাবারের সময় পান করুন। দেখবেন কেমন ম্যাজিকের মতো কাজ করে।
 গুঁড়
গুঁড় আপনার বুক জ্বালাপোড়া এবং এসিডিটি থেকে মুক্তি দিতে পারে। যখন বুক জ্বালাপোড়া করবে সাথে সাথে একটুকরো গুঁড় মুখে নিয়ে রাখুন যতক্ষণ না সম্পূর্ণ গলে যায়। তবে ডায়বেটিস রোগিদের ক্ষেত্রে এটি নিষিদ্ধ।


মাঠা
দুধ এবং মাখন দিয়ে তৈরী মাঠা একসময় আমাদের দেশে খুবই জনপ্রিয় ছিল। এসিডিটি দূর করতে টনিকের মতো কাজ করে যদি এর সাথে সামান্য গোলমরিচ গুঁড়া যোগ করেন।
পুদিনা পাতা
পুদিনা পাতার রস গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে বহুদিন ধরেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। প্রতিদিন পুদিনা পাতার রস বা পাতা চিবিয়ে খেলে এসিডিটি ও বদহজম থেকে দূরে থাকতে পারবেন।
বোরহানী
undefined
বিয়ে বাড়িতে আমাদের বোরহানী না হলে চলেই না। টক দই, বীট লবণ ইত্যাদি নানা এসিড বিরোধী উপাদান দিয়ে তৈরী বলে এটি হজমে খুবই সহায়ক ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন ভারী খাবারের পর একগ্লাস করে খেতে পারলে আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অনেকাংশে দূর হবে।
তুলসী পাতা
হাজারো গুণে ভরা তুলসী পাতার কথা আপনারা সবাই জানেন। এসিডিটি দূর করতেও এর ভূমিকা অনন্য। যখন গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হবে ৫-৬ টি তুলসী পাতা চিবিয়ে খেলে দেখবেন এসিডিটি কমে গেছে। তুলসী পাতা যে প্রতিদিন ব্লেন্ড করে পানি দিয়ে খাবেন, তার এসিডিটি হওয়ার প্রবনতা অনেক কমে যাবে।
আঁদা
আঁদাও এমন একটি ভেষজ উপাদান যা আমাদের অনেক কাজে লাগে। প্রতিবার খাদ্য গ্রহনের আধা ঘন্টা আগে ছোট এক টুকরো আঁদা খেলে দেখবেন আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা গায়েব হয়ে গেছে।
দুধ
দুধের মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম, যা পাকস্থলীর এসিড কমাতে সাহায্য করে। রাতে একগ্লাস দুধ ফ্রিজে রেখে দিয়ে পরদিন সকালে খলি পেটে সেই ঠান্ডা দুধটুকু খেলে সারাদিন এসিডিটি থেকে মুক্ত থাকা যাবে। তবে কারো পেট দুধের প্রতি অতিসংবেদনশীল, এদের ক্ষেত্রে দুধ খেলে সমস্যা আরো বাড়তে পারে।
ভ্যানিলা আইসক্রিম
undefined
আইসক্রিম খেতে আমরা সবাই পছন্দ করি। কিন্তু আপনি কি জানেন ভ্যানিলা আইসক্রিম শুধু আমাদের তৃপ্তিই যোগায় না, সাথে এসিডিটি দুর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে! কি এটা শুনে আইসক্রিম খাওয়া আরো বাড়িয়ে দিলেন নাকি? তবে সাবধান আবার ঠান্ডা লাগিয়ে ফেলবেন না

ঘুমানোর আগে যে ৬টি কাজ ওজন কমাতে সহায়ক


ওজন কমাতেওজন সমস্যায় যারা ভুগছেন তাদের অনেকেই নানান চেষ্টার পরেও ওজন কমাতে পারছেন না। ওজন কমানোর চিন্তায় চিন্তায় ঘুমও হারাম হয়ে গিয়েছে অনেকের। ওজন কমানোর জন্য নানান রকম হারবাল ওষুধ আর এটাওটা ব্যবহার করে ফলাফল পাওয়া দূরে থাক উল্টো আরো হীতে বিপরীত হয়েছে অনেকেরই।
যারা ওজন সমস্যায় ভুগছেন তাঁরা সারাদিন হয়তো ওজন কমানোর প্রচেষ্টায় খুব বেশি সময় দিতে পারেন না। কিন্তু রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগের সময়টাতে নিশ্চয়ই আপনার তেমন কোনও ব্যস্ততা থাকে না? তাহলে এই সময়টাকেই ওজন কমানোর কাজে লাগিয়ে ফেলুন।
রাতের কিছু অভ্যাস ওজন কমা
তে সহায়ক। কিছু অভ্যাসের মাধ্যমে বেশ সহজেই আপনি কমিয়ে ফেলতে পারবেন আপনার বাড়তি কিছু ওজন। আসুন জেনে নেই ৫টি উপায়।

ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ৪ ঘন্টা আগে খাওয়া

অনেকেরই অভ্যাস হলো রাতে খেয়েই ঘুমিয়ে পড়া। রাতে খেয়েই যাদের ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যাস আছে তাদের এই অভ্যাস বদলে ফেলা উচিত। কারণ রাতে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লে খাবার হজম হতে দেরী হয় এবং ওজন বেড়ে যায়। তাই রাতে ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ৪ ঘন্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে ফেলা উচিত। এরপর রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আর কিছুই খাওয়া উচিত না। প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার ৪ ঘন্টা আগেই খেয়ে ফেলার অভ্যাস করলে অতিরিক্ত মেদ জমবে না শরীরে।

গ্রিন টি

গ্রিন টি শরীরের মেটাবলিজম বাড়ায়। রাতের বেলা মেটাবলিজম ক্রমশ কমতে থাকে, ঘুমের সময় থাকে সবচাইতে কম। ফলে খাবার হজম হয় না ঠিকমত ও শরীরে মেদ জমে সহজে। রাতের বেলা গ্রিন টি পানে মেটাবলিজম বেড়ে যায় এবং মেদ জমার সম্ভাবনা কমে। গ্রিন টি-তে ক্যাফেইনের পরিমানও খুবই সামান্য। তাই গ্রিন টি পানে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটার সম্ভাবনাও কম। রাতে ডিনারের পর পান করে নিন চমৎকার এক কাপ গ্রিন টি।
খাওয়ার পর মিষ্টান্নের বদলে ফল খাওয়া
আমাদের দেশের অনেকেরই অভ্যাস হলো রাতে খাওয়ার পর অল্প করে হলেও মিষ্টি কোনও খাবার খাওয়া। মিষ্টি খাবারে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট থাকে যা মেদ বাড়িয়ে দেয়। যাদের খাওয়ার পরে মিষ্টি খাবার খাওয়ার অভ্যাস আছে তাঁরা মিষ্টান্নের বদলে ফল খেতে পারেন। আপেল, পেয়ারা কিংবা অন্য কোন হালকা মিষ্টি ফল খেলে আপনার মিষ্টান্ন খাওয়ার অভ্যাস দূর হয়ে শরীরের মেদ কমে যাবে ধীরে ধীরে।

পানি খাওয়া

ঘুমাতে যাওয়ার আগে দুই গ্লাস পানি খেয়ে ঘুমাতে যান। পানি শরীরের হজম প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। এছাড়াও পানি শরীরের মেদ কমাতে সহায়তা করে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে পানি খেলে ত্বকও ভালো থাকে।

কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি বা ব্যায়াম

গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ১৫ থেকে ৩০ মিনিট হাঁটাহাঁটি ওজন কমাতে সহায়ক। খুব বেশি ঘাম ঝরিয়ে ব্যায়াম প্রয়োজন নেই, ঘুমাতে যাওয়ার আগে প্রতিদিন ১৫ থেকে ৩০ মিনিট ঘরের ভেতরেই পায়চারি করুন। তাহলে শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরে যাবে বেশ দ্রুত।

স্কিম মিল্ক বা ননি মুক্ত দুধ খাওয়া

যাদের ঘুমাতে যাওয়ার আগে দুধ খাওয়ার অভ্যাস আছে তাঁরা ননি যুক্ত দুধের বদলে ননি মুক্ত দুধ বা স্কিম মিল্ক খাওয়ার অভ্যাস করুন। ননি মুক্ত দুধ খেলে শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমবে না এবং শরীরের প্রয়োজনীয় প্রোটিনের অভাব পূরন হবে। তাছাড়া ঘুমের আগে এক গ্লাস উষ্ণ দুধ অনিদ্রা দূর করতেও সহায়ক।

Thursday, 19 December 2013

নীরব হার্ট অ্যাটাক

নীরব হার্ট অ্যাটাক
সুস্বাস্থ্য ডেস্ক

হার্ট অ্যাটাক তথা এমআই (Myocardial Infraction) হওয়ার আগ মুহূর্তে সাধারণত বেশ কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। যেমন বুকে ব্যথা হওয়া, বুকে চাপ লাগা, অস্থিরতা বোধ করা, হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেলা। বুকের ব্যথা কখনো কখনো বাম ঘাড়ের দিকে বা বাম চোয়ালে যেতে পারে, শুধু তাইনা, বাম বাহুর ভিতরের দিকেও ব্যথা ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এসব উপসর্গ দেখে আমরা দ্রুত বুঝে যাই কারো এম আই হলে, এবং দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করি। আর এমন অবস্থায় বাসায় বা অন্য কোথাও কোনো মানুষকে পাওয়া গেলে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে, হাস্পাতাল দূরে হলে এস্পিরিন ৪টা ট্যাবলেট একসাথে খায়িয়ে দিতে হবে। পারলে জীহবার নিচে নাইট্রোকার্ড বা নাইট্রোসোল স্প্রে করে দিতে হবে!!
সবই ঠিক আছে। কিন্তু কখনো কখনো এমনো হতে পারে যে, হার্ট অ্যাটাক হল। এবং খুব খারাপ অবস্থা হয়ে পড়ে। এমনকি আক্রান্ত রোগীর জীবনাবসানও ঘটে যেতে পারে! এত মারাত্মক ঘটনা ঘটে গেল, কিন্তু রোগী অ্যাটাকের আগে আগে কোন উপসর্গই বুঝতে পারে নাই। কোন অনুভূতিই হয়নি। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এ ধরনের হার্ট অ্যাটাককে সাইলেন্ট এমআই বা নীরব হার্ট অ্যাটাক বলা হয়।
সাইলেন্ট কেন?– কারণ রোগী এই সময় কিছু বুঝতে পারেনা, আর পারলেও খুব অল্প বা সাধারণ ব্যথা হিসেবে মনে করে তেমন পাত্তা দেয় না!
সবার হতে পারে??
না! সাধারণত ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রেই প্রধানত এমনটা দেখা যায়।
তবে কি যেকোনো ডায়াবেটিস রোগীর এমনটা হতে পারে?
না, সেটাও নয়। সাধরনত যাদের শরীরে ডায়াবেটিস এর জন্য নানা ধরনের কমপ্লিকেশান তৈরি হয়, তাদের ক্ষেত্রেই এমনটা হয়ে থাকে!
কেন হয়?
ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথী হওয়ার কারনে শরীরের বোধ শক্তি অনেকটাই কমে আসে ফলে হার্ট এট্যাকের সময় তীব্র ব্যথা হলেও মানুষ সেটা বুঝতে পারে না সহজে।
চিকিৎসা - চিকিৎসার ব্যপারে সাধারন হার্ট এট্যাক আর সাইলেন্ট হার্ট এট্যাক এর মাঝে কোনো পার্থক্য নেই।
সচেতন থাকাটা খুবই প্রয়োজন সাইলেন্ট এম আই থেকে দূরে থাকতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখাটা খুব প্রয়োজনীয়।
কি করা উচিতঃ
১. ডায়াবেটিস এর কম্পলিকেশান যার শরীরে তৈরি হবে তাকে সব সময় সাবধানে থাকতে হবে
২. নিয়মিত কোনো মেডিসিন বিশেষজ্ঞ বা ডায়াবেটোলোজিস্ট এর তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে
৩. বুকে অল্প ব্যথা দেখা দিলে কিংবা অস্থিরতা বোধ করতে (যেটা হাইপোগ্লাইসেমিয়া নয়)দ্রুত হাসাপাতালে যেতে হবে!
অস্থিরতা হাইপোগ্লাইসেমিয়ার জন্য নাকি সাইলেন্ট এম আই এর জন্য কিভাবে বুঝবে?
হাইপোগ্লাইসেমিয়া এর জন্য যখন অস্থিরতা হয়, তখন গ্লুকোজ বা চিনি কিংবা অন্য কোনো খাবার খেলে সেটা দ্রুতই ঠিক হয়ে আসবে কিন্তু সাইলেন্ট এম আই এর ক্ষেত্রে সেটা হবে না। আর ঘরে গ্লুকোমিটার থাকলে সহজেই

রোগ প্রতিরোধ ও ওজন কমাতে বাঁধাকপি

      
 
রোগ প্রতিরোধ ও ওজন কমাতে বাঁধাকপি
সুস্বাস্থ্য ডেস্ক
বাঁধাকপি একটি সুস্বাদু শীতকালীন সবজি। আমাদের দেশের ঘরে ঘরে একটি জনপ্রিয় খাবার এই বাঁধাকপি। এটি কাঁচা এবং রান্না দুইভাবেই খাওয়া যায়।
স্বাদে ও গুণে অতুলনীয় এই সবজিটি বিশেষ পদ্ধতিতে চাষ করার কারণে মোটামুটি সারা বছরই পাওয়া যায়। তবে শীত কালীন বাঁধাকপির স্বাদ তুলনামূলক ভাবে অন্য সময়ের বাঁধাকপির চাইতে বেশি। শুধু স্বাদই নয় বাঁধাকপির রয়েছে রোগ প্রতিরোধ ওজন কমানোর মত গুরুত্বপূর্ণ সব উপাদান।
পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, প্রতি ১০০ গ্রাম বাঁধাকপিতে রয়েছে ১.৩ গ্রাম প্রোটিন, ৪.৭ গ্রাম শর্করা, ০.০৬মিলিগ্রাম ভিটামিন বি১, ০.০৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি২ ও ৬০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি।
তাছাড়া প্রতি ১০০ গ্রাম বাঁধাকপিতে ৩১ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ০.৮মিলিগ্রাম লৌহ, ৬০০ মাক্রোগ্রাম ক্যারোটিন ও ২৬ কিলোক্যালোরীখাদ্যশক্তি থাকে। আসুন জেনে নেয়া যাক কোন ৬টি কারণে বাঁধাকপি খাওয়া উচিত।
প্রচুর ভিটামিন আছে অনেকেই শরীরে ভিটামিনের অভাব দূর করার জন্য নিয়মিত মাল্টি ভিটামিন ট্যাবলেটখান। আপনি কি জানেন নিয়মিত বাঁধাকপি খেলে আপনার আর মাল্টি ভিটামিন খাওয়ারপ্রয়োজন হবে না।
কারণ বাঁধাকপিতে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় সব ভিটামিনই আছে।বাঁধাকপিতে আছে রিবোফ্লাবিন, প্যান্টোথেনিক এসিড এবং থিয়ামিন ।
হাড় ভালো রাখে বাঁধাকপিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও কে আছে। ভিটামিন সি হাড়ের বিভিন্নসমস্যা দূর করে। এছাড়াও বাঁধাকপিতে উপস্থিত ভিটামিন কে হারকে মজবুত রাখে।যারা নিয়মিত বাঁধাকপি খায় তারা বয়স জনিত হাড়ের সমস্যা থেকে রক্ষা পায়।
ওজন কমাতে সহায়ক খাবার বাঁধাকপিতে খুবই সামান্য কোলেস্টেরল ও সম্পৃক্ত চর্বি আছে। এছাড়াওবাঁধাকপিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে। ওজন কমাতে চাইছেন যারা তাদের জন্যনিয়মিত সালাদ খাওয়ার বিকল্প নেই। আর প্রতিদিনের সালাদের রাখুন বাঁধাকপি।
সালাদে প্রচুর পরিমাণে বাঁধাকপি থাকলে অতিরিক্ত ক্যালোরি বাড়ে না বললেই চলে। তাই ওজন কমাতে চাইলে নিয়মিত খাবার তালিকায় প্রচুর পরিমাণে বাঁধাকপিরাখুন। আলসারের সমস্যা কমায়
আলসার প্রতিরোধে বাঁধাকপি যারা আলসারের সমস্যায় ভুগছেন তাঁরা নিয়মিত বাঁধাকপি খাওয়ার অভ্যাস করুন।কারণ গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে বাঁধাকপি আলসার প্রতিরোধ করে। পাকস্থলির আলসারও পেপটিক আলসার প্রতিরোধে বাঁধাকপির জুড়ি নেই। স্ট্যানফোর্ডবিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে বাঁধাকপির রসআলসারের জন্য সবচেয়ে উপকারী প্রাকৃতিক ওষুধ।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় বাঁধাকপি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। আপনি যদি রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়িয়ে নিজেকে সুস্থ্য রাখতে চান তাহলে প্রতিদিনের খাবার তালিকায়বাঁধাকপি যোগ করুন।
গবেষণায় দেখা গেছে যে যারা নিয়মিত বাঁধাকপি খান তাদেররোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি। বাঁধাকপিতে উপস্থিত ভিটামিনসি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
ত্বক ভালো রাখে ত্বক ভালো রাখতে ভিটামিন ই এর জুড়ি নেই। আর বাঁধাকপিতে আছে প্রচুর ভিটামিনই। বাঁধাকপির ফ্রি র‍্যাডিকেল ফাইটিং প্রোপার্টি আছে যা ত্বকের যে কোনওসমস্যা সমাধান করতে সক্ষম। এছাড়াও নিয়মিত বাঁধাকপি খেলে ত্বকে সহজে বয়সেরছাপ পড়ে না। তাই যারা ত্বক ভালো রাখতে চান তাঁরা বেশি করে বাঁধাকপি খান।
এছাড়া বাঁধাকপির রয়েছে মূল্যবান ভেষজ গুণাগুণ। এর কাঁচাপাতা যদি আপনি রোজ 50 গ্রাম করে খেতে পারেন তাহলে আপনার পায়রিয়া এবং দাঁতের অন্য কোন সমস্যা থাকবে না৷
  •  প্রতিদিন বাঁধাকপির পাতা 50 গ্রাম খেলে আপনার মাথায় চুল গজাবে৷
  •  বাধাকপির রস খেলে ঘা সেরে যায়। 
  • এক গ্লাস দই এর ঘোলের মধ্যে এক কাপ বাঁধাকপির রস, এক চতুর্থাংশ পালং শাকের রস মিশিয়ে প্রতিদিন দু বার পান করলে খুব অল্প দিনের মধ্যে আপনার কোলাইটিস সংক্রান্ত সমস্যা দূর হয়ে যাবে৷

Monday, 2 December 2013

নিয়মিত যৌন মিলনের দশ উপকারিতা !

সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে কাটাতে চাইছেন ভালোবাসার একান্ত সময় কাটাতে চাইছেন? এগিয়ে যান। কারণ নিয়মিত যৌনমিলন বা সহবাস মানসিক শান্তির সঙ্গেই আপনার ক্লান্তি কাটিয়ে দেবে, ক্যালরি কমাবে, আরামের ঘুমও উপহার দেবে। এক কথায় শরীরকে করে তুলবে সুস্থ, ঝরঝরে।

নিয়মিত সহবাসের ১০টি উপকারিতা-

১) সপ্তাহে দু`দিন যৌনমিলন পুরুষদের হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বহুলাংশে কমিয়ে দেয়।

২) যৌনমিলন ব্যাথা উপশমে অব্যর্থ। যৌনমিলনের সময় অর্গাসমের ফলে অক্সিটোসিন হরমোন ক্ষরণের মাত্রা পাঁচ গুণ বৃদ্ধি পায়। এর সঙ্গেই শরীর এন্ডোরফিনস ক্ষরণ করে যা ব্যাথা কমিয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।

৩) নিয়মিত যৌনমিলন শরীরে IgA অ্যান্টিবডির সংখ্যা বাড়িয়ে তোলে। যা রোগ প্রতিরোধে অপরিহার্য্য।

৪) সহবাস ক্লান্তি দূর করে। মানসিক শান্তি তৈরি করে।

৫) যৌনমিলনের পরবর্তী ঘুম আরাম ও শান্তির হয়। যা সার্বিক ভাবে শারীরিক সুস্থতা বৃদ্ধি করে।

৬) প্রত্যেকবার যৌনমিলনের ফলে অন্তত পক্ষে ৮০ ক্যালরি করে ক্ষয় হয়। ফলে ওজন ঝরানোর জন্য মোক্ষম পদ্ধতি সহবাস।

৭) যৌনমিলন চলাকালীন ডিহাইড্রোএপিএন্ড্রোস্টেরন নামের একটি হরমোন ক্ষরিত হয়। এই হরমোন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন কোষ-কলাকে মেরামত করে। ফলে আয়ু বৃদ্ধি পায়।

৮) সহবাসের সময় হৃদস্পন্দনের হার বৃদ্ধি পায়। ফলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ও কোষে রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।

৯) সহবাস চলাকালীন অতিরিক্ত টেস্টোস্টেরনের ফলে যৌনমিলন তৃপ্তি দায়ক হয় এটা সবারই জানা। কিন্তু অনেকেরই জানা নেই টেস্টোটেরন একই সঙ্গে হাড় মজবুত করে, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে, হার্টের সুস্থতা বজায় রাখে। মহিলাদের ক্ষেত্রে এই সময় অতিরিক্ত ইস্ট্রোজেন ক্ষরণ হার্টের সুস্থতা বজায় রাখে, এবং গন্ধ নিয়ন্ত্রণ করে।

১০) সপ্তাহে অন্তত তিনবার যৌন মিলন বাহ্যিকভাবে আপনার বয়স দশ বছর কমিয়ে দিতে পারে। সহবাসের সময় শরীরে অক্সিটোসিন, এন্ডোরফিন জাতীয় মলিকিউলস ক্ষরণ বৃদ্ধি পায়। ক্ষতিগ্রস্থ ত্বক কোষ গুলিকে মেরামত করতে পারে এই মলিকিউলস গুলি। এছাড়া এই সময় যৌন মিলন চলাকালীন যে গ্রোথ হরমোন ক্ষরিত হয় তা চামড়ার কুঞ্চন প্রতিরোধ করে। রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। ত্বক চকচকে করে।  সূত্র: জিনিউজ।

ওজন কমাতে নিম্ন ক্যালরীর ১০ টি খাবার


 বাড়তি ওজন কারোই কাম্য নয়। তবে  ওজন কমানো প্রথম শর্তই হল খাদ্যাভ্যাস। ব্যায়াম কিংবা শারীরিক পরিশ্রমের চেয়ে বেশি প্রয়োজন খাদ্য তালিকায় উচ্চ ক্যালরির খাবারগুলো এড়িয়ে চলা।  কিন্তু চারিদিকে উচ্চ ক্যালরির খাবারের প্রাধান্য থাকাতে এবং কম ক্যালরির সঠিক খাবার না জেনে থাকার কারণে ওজন কমাতে পারছেন না অথবা ওজন কমাতে গিয়ে সুফল পাচ্ছেন না তাদের জন্য আমরা আজকে ১০০ ক্যালরির কম ১০টি খাবারের তালিকা প্রকাশ করা হল।

১। পপ কর্ণঃ পপ কর্ণ বা ভুট্টার খইতে রয়েছে প্রচুর আঁশ। পপ কর্ণ হচ্ছে ১০০ ক্যালরির নিচে খাবার সমূহের মাঝে একটি। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখাগেছে পপ কর্ন পলিফেনল নামে এক অতি উপকারী রাসায়নিকে ঠাসা। এই বিশেষ ধরনের এন্টিঅক্সিডেন্ট রেড ওয়াইনের মধ্যেও পাওয়া যায়। এ রাসায়নিক ক্যান্সার নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারে। গবেষণায় দেখে গেছে, ওজন হিসেবে পপ কর্নের ১ দশমিক ৫ শতাংশই পলিফেনলস যা একই পরিমাণ ফলের বা সবজির তুলনায় অনেক বেশি। তবে স্বাভাবিকভাবে যেভাবে ঘি লবন মিশ্রিত করে খাওয়া হয় পপকর্ণ তা কিন্তু মোটেই কাম্য নয়। সেক্ষেত্রে লাভের চেয়ে বেশি ক্ষতিই হতে পারে।

২। কালো চকলেটঃ কালো চকলেট বা ডার্ক চকলেট নিয়ে একাধিক গবেষণায় বিশেষজ্ঞগণ দেখেছেন কালো চকলেট রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয়, রক্তচাপ কমায় এবং রক্তনালী কোমল রাখে তাই হার্টের জন্য কালো চকলেট ভালো। কালো চকলেটে থাকে ফিনাইলথাইলামিন নামক এক ধরনের কেমিক্যাল এবং এই কেমিক্যাল মস্তিষ্কে এন্ডোরফিন নিঃসরণ করে। ফলে মস্তিষ্ক উজ্জীবিত হয়। কালো চকলেটেও রয়েছে ১০০ ক্যালরির কম শক্তি।

৩। ফুলকপিঃ আপনি ওজন কমাতে হলে কম ক্যালরির সবজি খেতে চাইলে ফুলকপি খেতে পারেন ফুলকপিতেও ১০০ ক্যালরির নিচে রয়েছে। ফুলকপি একটি শীতকালীন সবজি। ফুলকপিতে রয়েছে শরীরের জন্য একান্ত প্রয়োজনীয় কিছু উল্লেখযোগ্য ভিটামিন ও খনিজ উপাদান ভিটামিন ‘এ’, ‘বি’ ও `সি`।
৪। কাজুবাদামঃ কাজুবাদাম খুবই সুস্বাদু বাদাম জাতীয় খাবার। বাদামে চর্বির পরিমান বেশি থাকার কারনে অনেকেই মনে করেন তা বেশি খেলে সহজেই মোটা যায়। আসলে এ ধারনাটা ঠিক নয় বাদাম শরীর স্লিম হওয়াকে সহায়তা করে এবং হার্ট সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।কাজুবাদাম আপনি কম ক্যালরির পুষ্টিকর একটি খাবার হিসেবে খেতে পারেন।

৫। তরমুজঃ তরমুজের নানান রকম উপকারিতা রয়েছে। তরমুজের পুষ্টি, খাদ্য ও ভেষজগুণ এখন সর্বজনবিদিত ও বৈজ্ঞানিক সত্য। তরমুজ শরীরের পানির চাহিদা পূরণ করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। তরমুজে রয়েছে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম। তরমুজ শরীরের কোলাজেন গঠনে সাহায্য করে, তরমুজ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।

৬। লস্সিঃ লস্সি একটি সুস্বাদু পানীয় জাতীয় খাবার। লস্সি খেলে আপনার শরীর স্লিম হবে এবং লস্সি একটি ১০০ ক্যালরির নিচের খাবার।

৭। ব্লুবেরিঃ ব্লুবেরি একটি মিষ্টি ফল কিন্তু অনেক কম ক্যালরীযুক্ত ফল। এক কাপ ব্লুবেরিতে মাত্র ৮০ কিলোক্যালরী পুষ্টিমান রয়েছে। ব্লুবেরিতে আছে রেসভেরাট্রল নামে এক শক্তিশালী এন্টি ক্যানসার এজেন্ট, যা সারভিকেল এবং ব্রেষ্ট ক্যানসার সেলের বৃদ্ধি রোধে সাহায্য করে।

৮। ডিমঃ একটি ডিমে থাকে সর্বোচ্চ ৭২ ক্যালোরি সমপরিমাণ শক্তি। সকল এমাইনো এসিডই আছে ডিমের প্রোটিনে। এই প্রোটিনের প্রায় শতভাগই শরীরের কাজে লাগে। ডিম শরীরের উপকারি অনেক পুষ্টির উৎস, তবে এটা রাখা বাঞ্চনীয় যে ডিমে আছে উচ্চ  কোলেস্টেরল, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।সেক্ষেত্রে ডিমের কুসুমটি বাদ দিয়ে শুরু সাদা অংশ খাওয়াটাই শ্রেয়।

৯। আপেলঃ একটি আপেলে রয়েছে ৭০ ক্যালোরি সমপরিমাণ শক্তি। আপেলের রোগ নিরাময় ক্ষমতা রয়েছে। আপেলের খোসায় রয়েছে অরসলিক এসিড যা মানবদেহের পেশির ক্ষয়রোধ করে। আপেল মানুষের রক্তের চর্বির (কোলেস্টেরল) মাত্রা কমায়। ফলে আপেল খেলে আপনি স্লিম থাকতে পারবেন।


১০। গ্রীন টি বা সবুজ চাঃ এক কাপ সবুজ চা’তে রয়েছে ৬৫ ক্যালোরি সমপরিমাণ শক্তি। গ্রীন টি পান করলে রক্তের প্রবাহ ভালো হয় এবং ধমনী শিথিল হয়। গ্রীন টি রক্তে কোলেস্টোরেলের মাত্রা কমায়। গ্রীন টি -এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে৷ বিশেষ করে স্বাস্হ্য সচেতন মানুষদের কাছে৷


এছাড়া অতি নিম্ন ক্যলরির মধ্যে আছে শশা, টমেটো , যা আপনার খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন ওজন কমানোর জন্য।

স্যানিটারি ন্যাপকিনঃ যে ৬টি ভয়াল স্বাস্থ্যঝুঁকির মুখে আধুনিক নারী!

নারীরা কর্মক্ষেত্র বা অন্যান্য কাজে প্রতিনিয়ত যখন ঘরের বাইরে কাটান, তখন পিরিয়ডকালীন সময়গুলোতে তাদের প্রধান সঙ্গী হয়ে ওঠে স্যানিটারি ন্যাপকিন। কিন্তু এই স্যানিটারি ন্যাপকিনই হতে পারে মৃত্যুর কারণও!
বিশ্বব্যাপী ৭৫% নারীই পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে যৌনাঙ্গে চুলকানি, র‍্যাশ ও ব্যথা বোধ করেন আর অধিকাংশই হয়ে থাকে স্যানিটারি ন্যাপকিনের কারণে। কেননা এগুলোতে বাতাস চলাচলের বা জীবানুমুক্ত করার উপায় থাকে না বলে এটি স্বাস্থ্যের জন্যে ভয়াবহ ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। এ থেকে হতে পারে মূত্রথলি বা জরায়ূর ক্যান্সারও!


আসুন জেনে নেয়া যাক বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ হতে স্যানিটারি ন্যাপকিনের স্বাস্থ্যঝুঁকিঃ

    ১) এই ন্যাপকিন তৈরিতে ব্যবহার করা হয় dioxin নামক কেমিকেল, US Environmental Protection Agency এর গবেষণা মতে যা সরাসরি ক্যান্সারের জন্যে দায়ী এবং জরায়ুর নানা ধরনের সংক্রমণের জন্যেও।

    ২) এছাড়াও ১৯৯৬ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়, এই ডায়োক্সিন সন্তাণ ধারণ ক্ষমতা ও জরায়ুর নানা ধরনের রোগের পেছনেও দায়ী। ছোট মাছ বা প্রানীকে সরাসরি ৩৮ পিকিউডি ডায়োক্সিন প্রয়োগ করলেই সেটি মারা যাবে। কিন্তু প্রতিটি স্যানিটারি ন্যাপকিনে ডায়োক্সিন থাকে ৪০০ পিপিটি।

    ৩) এতে জীবানুনাশক নেই, তাই এটি সহজেই হাতের ছোঁয়া বা প্রস্তুতকালীন সময়ে ব্যাক্টেরিয়া আক্রান্ত হতে পারে। ১৮৭ সালের একটি গবেষণায় একটি প্যাডেই ১১০০ জীবানু পাওয়া দিয়েছিল। যা আন্তর্জাতিক সুরক্ষা মানের চেয়ে ১০ গুণ বেশি।

    ৪) দীর্ঘ সময় ধরে সুরক্ষা দেয় যে ন্যাপকিন গুলো, সেগুলো রক্তকে জেলে পরিণত করে ফেলে। কিন্তু ৫ ঘন্টা পরেই সেখানে ফাঙ্গাস জন্মাতে শুরু করে। আর ত্বকের সংস্পর্শে এসে নানা ধরনের জরায়ুর সংক্রমণ, লাল র‍্যাশ সহ চুলকানী হতে পারে।

    ৫) প্যাডের নিচে থাকা প্লাস্টিকের কারণে রক্ত যেমন বাইরে বের হতে পারে না, তেমনি বাতাস চলাচলেও বাধা পড়ে। ফলে স্যাঁতসেঁতে অবস্থায় সহজেই ব্যাক্টেরিয়া জন্ম নেয় ও এ থেকে সংক্রমণ হতে পারে।

    ৬) প্রস্তুত প্রক্রিয়ার বিভিন্ন সময়ে নানা কেমিক্যাল ওয়াশের প্রয়োজন হয়। এর ফলে কিছু কেমিকেল রয়েই যায়। যা ত্বকের সংস্পর্শে এলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।

অবশ্যই করনীয়ঃ

যে কোম্পানীর ন্যাপকিনই ব্যবহার করুণ না কেন, চেষ্টা করুন, তা দীর্ঘ সময় ব্যবহার না করার। তুলোর তৈরি ন্যাপকিন বেছে নিন ও ৫ ঘন্টা পর পর বদলে নিন। সুস্থ থাকুন, সুরক্ষিত থাকুন। সূত্র : ইন্টারনেট

পুরুষের বীর্যের মান উন্নত করে যে খাবারগুলো

গবেষনায় দেখা যায়, পুরুষ বন্ধ্যাত্বের মধ্যে ৯০ শতাংশ দায়ী অনুন্নত বীর্য বা স্বল্প পরিমান বীর্য। আর প্রতি ২৫ জন একজন পুরুষ এর শিকার হন।  বাইরের খাবার, বিশ্রামের অভাব, খাবারের ভেজাল, ধূমপান ও মদ্যপান ইত্যাদি নানান কারণে পুরুষের স্পার্মের গুনাগুণ কমে গেছে অনেকটাই। তাই আগের তুলনায় পুরুষের বন্ধ্যাত্বের হারও বাড়ছে। কোমল পানীয়ের প্রতি অতিরিক্ত আসক্তিও স্পার্মের গুনাগুণ নষ্ট হওয়ার অন্যতম একটি কারণ। স্পার্মের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে এবং এর গুনাগুণ বাড়িয়ে তুলতে দরকার সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও সচেতনতা। আসুন দেখে নেয়া যাক স্পার্মের গুনাগুণ বাড়ায় এমন ৬টি খাবারের তালিকা।


ডার্ক চকোলেট


চকোলেট ভালোবাসেন? তাহলে আপনার জন্য সুখবর হলো ডার্ক চকোলেট স্পার্মের পরিমাণ বাড়ায় এবং গুনাগুণ বৃদ্ধি করে। ডার্ক চকোলেটে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা যৌন উদ্দিপনা বৃদ্ধি করতে ভুমিকা রাখে। এছাড়াও ডার্ক চকোলেটে আছে L-Arginine HCL ও অ্যামিনো এসিড। এই উপাদানগুলো স্পার্মের সংখ্যা এবং পরিমাণ বৃদ্ধি করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে যে সব পুরুষ নিয়মিতঅল্প করে হলেও ডার্ক চকোলেট খায় তাদের যৌন ক্ষমতা অন্যদের তুলনায় বেশি

কলা


কলা স্পার্মের পরিমাণ উল্ল্যেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি করে। কলায় বোমেনাইল নামের বিশেষ এক ধরণের এঞ্জাইম আছে যা যৌন উদ্দিপক হরমোন গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়াও কলায় ভিটামিন বি১, ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি আছে যেগুলো শরীরের শক্তি বাড়ায় এবং স্পার্ম উৎপাদন বাড়াতে সহায়তা করে।

গরুর মাংস


কি অবাক হচ্ছেন? গরুর মাংসে আছে প্রচুর পরিমাণে জিংক। জিংক যৌন উদ্দীপনা কমানোর জন্য দায়ী টেস্টোস্টেরন কে এস্ট্রোজনে রূপান্তরিত করতে বাঁধা দেয়। ফলে যৌন ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ার ঝুঁকির থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। তাছাড়াও গরুর মাংসে প্রচুর প্রোটিন আছে যা স্পার্মের পরিমাণ ও গুন বৃদ্ধি করে।

তেল যুক্ত মাছ


হিউমান রিপ্রোডাকশনের একটি গবেষনায় জানা গেছে যে তৈলাক্ত মাছ স্পার্মের গুন বাড়াতে সহায়ক। তৈলাক্ত মাছে আছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড। গবেষনায় যারা ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড যুক্ত মাছ খেয়েছে তাদের স্পার্মের গুনাগুণ ও পরিমাণ যারা খায়নি তাদের তুলনায় বেশি। ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডের DHA ও EPA ডোপামিনের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয় এবং মস্তিকে যৌন উদ্দীপনার অনুভুতি জাগাতে সহায়তা করে।

রসুন


যারা বাবা হতে চাইছেন তাদের জন্য রসুন একটি আদর্শ খাবার। রসুনে আছে সেলেনিয়াম নামক একটি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা স্পার্মের সক্রিয়তা বাড়ায়। এছাড়াও রসুনে আরো আছে আলিকিন যা যৌনাঙ্গের রক্তচলাচল বৃদ্ধি করে উদ্দিপনা সৃষ্টি করে এবং স্পার্মের পরিমাণ বাড়ায়।

কালজিরা


কালোজিরা বা নাইজেলা সিডে ১৫টি অ্যামোইনো এসিড আছে। এছাড়াও কালোজিরায় ২১ শতাংশ প্রোটিন রয়েছে ও ৩৮ শতাংশ শর্করা আছে। নিয়মিত কালোজিরা সেবনে স্পার্ম সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং স্পার্মের গুনাগুণ বাড়ে।

লেবু জাতীয় ফল:  


ভিটামিন সি এর মত এন্টিঅক্সিডেন যা সিরটাস বা লেবুজাতীয় ফলে প্রচুর পরিমানে বিদ্যমান পুরুষের বীর্যের মান উন্নত করে। লেবু, আঙ্গুরের জুস এক্ষেত্রে খুবই কার্যকর। 

লেবু পানির ১০টি স্বাস্থ্য উপকারিতা

শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরেই লেবুর উপকারি গুণাগুণ মানুষের জানা। এর মাঝে একটা প্রধান উপকারিতা হলো ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ইত্যাদির তৈরি করা রোগ বালাই দূরীকরণ এবং শরীরের সার্বিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি। আরেকটা হলো হজম শক্তি বাড়ানো এবং যকৃৎ পরিষ্কারের মাধ্যমে ওজন কমানোর ক্ষমতা। লেবুতে সাইট্রিক এসিড এর পাশাপাশি আরও রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, বায়োফ্লাভোনোয়েড, পেক্টিন এবং লিমোনিন। 

এই সবগুলো পদার্থের প্রভাবেই আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং রোগের সাথে শরীর যুদ্ধ করার শক্তি পায়। সকালে এক গ্লাস গরম পানির সাথে লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে এসব উপকার সর্বাধিক মাত্রায় পাবে আপনার শরীর। গরম পানি কেন? কারণ ঠাণ্ডা পানির চাইতে গরম পানি শরীরে শোষিত হয় অনেক দ্রুত এবং এর থেকে তত বেশি উপকৃত হবেন আপনি। এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে অর্ধেকটা লেবুর রস মিশিয়ে পান করতে পারেন। আর সকালে উঠে অন্য যে কোনও কাজ করার আগেই এটা পান করবেন। তাহলেই পাবেন এর অসাধারণ সব উপকারিতা।


১) হজমে সহায়ক :

শরীর থেকে অযাচিত পদার্থ এবং টক্সিন বের করে দেয় লেবুর রস। আমাদের হজমের জন্য ব্যবহৃত লালা এবং পাচক রসের সাথে বেশ মিল আছে এর গঠন এবং কাজের। আর যকৃতের থেকে হজমে সহায়ক এক ধরণের পদার্থ নিঃসরণেও এটি সহায়তা করে।

২) ডাইইউরেটিক হিসেবে কাজ করে :

শরীরে মুত্রের পরিমাণ বৃদ্ধি করে এবং এর মাধ্যমে খুব দ্রুত ক্ষতিকর এবং বিষাক্ত পদার্থ শরীর থেকে বের হয়ে যায়। এছাড়া মূত্রনালির স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও এটি সহায়ক।

৩) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় :

লেবুতে থাকে অনেকটা ভিটামিন সি এবং লৌহ যা ঠাণ্ডাজ্বর জাতীয় রোগের বিরুদ্ধে ভীষণ কার্যকর। এতে আরও আছে পটাসিয়াম যা মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুকে সক্রিয় রাখে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে সহায়তা করে। এতে থাকা অ্যাসকরবিক এসিড প্রদাহ দূর করে এবং অ্যাজমা বা এজাতীয় শ্বাসকষ্টের সমস্যা কমায়। এছাড়াও কফ কমাতে সাহায্য করে লেবু।

৪) শরীরের পিএইচ মাত্রা ঠিক রাখে :

এর অর্থ হলো শরীরের অম্ল-ক্ষারকের মাত্রা ঠিক রাখে লেবু। লেবু হজম হয়ে যাবার পর কিন্তু আর অম্লীয় থাকে না, ক্ষারীয় হয়ে যায়। ফলে এটি রক্তে মিশে যায় এবং শরীরের অম্লতা বাড়তে দেয় না। অম্লতা বেড়ে গেলেই দেখা দেয় রোগ।

৫) ত্বক পরিষ্কার করে :

ত্বকের কুঞ্চন এবং দাগ দূর করে লেবুতে থাকা বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকের জন্য খুব দরকারি হল ভিটামিন সি। ব্রণ বা অ্যাকনি সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া এটি দূর করে। আর ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতেও এটি কার্যকরী।

৬) আপনার মন ভালো করে দেয় :

সকালেই প্রাণচাঞ্চল্য বাড়িয়ে দিতে এর জুড়ি নেই। খাবার থেকে শক্তি শোষণের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় লেবু। আর এর গন্ধে আপনার মন ফুরফুরে হয়ে উঠবে নিমিষেই। দুশ্চিন্তা এবং বিষণ্ণতা দূরীকরণেও এটি অসামান্য।

৭) সেরে ওঠার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে :

ক্ষতস্থান সেরে তুলতে সাহায্য করে অ্যাসকরবিক এসিড। আর হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখতেও এটি সহায়ক। স্ট্রেস এবং যে কোনও ধরণের ব্যাথার উপশম করে ভিটামিন সি।

৮) নিঃশ্বাসে আনে তরতাজা ভাব :

নিঃশ্বাসে লেবুর সতেজতা আনা ছাড়াও, এভাবে গরম পানির সাথে লেবুর রস পানে দাঁতের ব্যথা এবং জিঞ্জিভাইটিসের উপশম হয়। তবে এটা পানের পর পরই দাঁত ব্রাশ করবেন না কারণ সাইট্রিক এসিড দাঁতের এনামেল ক্ষয় করে ফেলে। আগে দাঁত ব্রাশ করে তার পর এটা পান করা ভালো। আর লেবুপানি পান করার পর বিশুদ্ধ পানি খেতে পারেন এক গ্লাস।

৯) শরীরে তরলের পরিমাণ ঠিক রাখে :

রাতে ঘুমানোর সময়ে যে পানি খরচ হয় সেটা পূরণ হয়ে যায় সকাল সকাল এই এক গ্লাস পানি পানের মাধ্যমে।

১০) ওজন কমাতে সহায়ক :

লেবুতে প্রচুর পরিমাণে পেক্টিন থাকে। আঁশজাতীয় এই পদার্থ ক্ষুধা নিয়ন্ত্রনে রাখে। ফলে ওজন কমে। গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের খাবারে এমন অম্লজাতীয় খাবার কম থাকে তাদের ওজন বাড়ে বেশি।