Wednesday, 20 November 2013

দাঁত মানুষের সৌন্দর্যেতীর প্রতিক

দাঁত মানুষের সৌন্দর্যেতীর প্রতিক, দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম সবার অনুধাবন করা উচিৎ। আপনি দেখতে যতই সুন্দর বা সুন্দরী হোন না কেন দাঁত সুন্দর না হলে আপনাকে হাসলে দেখাবে বিশ্রী, মুখ থেকে গন্ধ বেরোলে নানান বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হবে আপনাকে। তাই জেনেনিন দাঁত সুন্দর রাখতে ১০টি টিপস
আমরা আজ আপনার জন্য সম্প্রতি ইন্ডিয়া টাইমসে প্রকাশিত বিশিষ্ট ভারতীয় দাঁতের ডাক্তার অজয় কাক্কারের দেয়া কিভাবে দাঁত সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখা যায় সে বিষয়ে কিছু টিপস জানাবো।
দৈনিক দুইবার ব্রাশ করুনঃ ডাক্তার অজয় বলেন মানুষের ৭০% দাঁতের সমস্যা সমাধান হয়ে যায় যদি মানুষ প্রতিদিন নিয়ম করে দুইবার দাঁত ব্রাশ করে। প্রতিদিন নিয়ম করে দিনে দুইবার ২-৪ মিনিট ভালো করে দাঁত ব্রাশ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
ভালো মানের ব্রাশ ও পেস্ট ব্যবহার করুনঃ এমন জিনিস দিয়ে কখনই দাঁত ব্রাশ করবেন না যা আপনার দাঁতের ভালো করার বদলে এনামেল ক্ষয় করে ফেলবে। একটি ভালো মানের দাঁতের ব্রাশ কিনে তা দিয়ে দাঁত ব্রাশ করুন। এছাড়া ভালো মানের ফ্লুরাইড আছে এমন দাঁতের পেস্ট ব্যাবহার করুন।
খাবার পর ভালো করে দাঁত পরিষ্কার করুনঃ আপনি যদি বেশী বেশী নাস্তা করে থাকেন তবে প্রতিবার নাস্তার পর অবশ্যই মুখের ভেতরে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন। বিশেষ বিশেষ খাদ্য যেমন-পাউরুটি, বিস্কুট, কেক, টফি লজেন্স, আইসক্রিম ইত্যাদি খাওয়ার পর উত্তমরূপে দাঁত পরিষ্কার করবেন।
দাঁতের ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুনঃ দাঁত ঠিক আছে কিনা তা দেখার জন্য অবশ্যই বছরে অন্তত একবার দাঁতের ডাক্তারকে দাঁত দেখান। সাধারণত আমরা দাঁতকে হেলাফেলা ভাবে দেখি, হালকা সমস্যা ভেবে অনেক কিছুই এড়িয়ে যাই। মনে রাখবেন দাঁত মানুষের শরীরের অত্যন্ত গুরুত্ব পূর্ণ অঙ্গ ফলে দাঁতের জন্য চিকিৎসা বিজ্ঞানে আলাদা বিভাগ রয়েছে।
ধুমপান করবেননাঃ ধূমপান আপনার স্বাস্থ্যের যেমন ক্ষতিকরে পাশাপাশি আপনার দাঁতের আরও বেশী ক্ষতি করে। সিগারেটে থাকা নিকোটিন দাঁতের এনামেল ক্ষয় করে ফেলে। এছাড়া নিকোটিন দাঁতে কালো দাগ তৈরি করে। সুতরাং আপনি যদি ধূমপায়ী হন তবে ধূমপান ত্যাগ করুন।
ব্রাশ পরিবর্তন করুনঃ দীর্ঘদিন একই ব্রাশ ব্যাবহার করা দাঁতের জন্য ভালো নয়। আপনি যদি প্রায় ১ বছর যাবৎ একই ব্রাশ দিয়ে দাঁত ব্রাশ করে থাকেন তবে এটি এখনই পরিবর্তন করে নিন।
স্বাস্থ্যকর খাবার খানঃ আপনার নিজের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে আপনাকে যেমন স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে ঠিক তেমনি আপনার মূল্যবান দাঁত যেন ঠিক থাকে সে বিষয়ে নজর রেখে স্বাস্থ্য ও দাঁতের জন্য ভালো এমন খাবার গ্রহন করুন।
খাবার তালিকায় দুধ জাতীয় খাবার রাখুনঃ দুধ আপনার দাঁতের গঠন মজবুত করতে সাহায্য করে। দুধ ও দুধ থেকে তৈরি খাবার খেলে আপনার দাঁত সাদা ও উজ্জ্বল হবে। চীজ, পনির, মাখন, দই ইত্যাদি দুধ থেকে তৈরি খাবার।
কোমল পানীয় থেকে দূরে থাকুনঃ আপনি আপনার দাঁতের সৌন্দর্য ঠিক রাখতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে বোতলজাত কোমল পানীয় থেকে দূরে থাকতে হবে। কোক অথবা পেপসিতে রয়েছে কেরামেল রং যা আপনার দাঁতকে বিবর্ণ করতে যথেষ্ট। তারপরও যদি এসব কোমল পানীয় খেতে চান তবে পাইপ বা স্ট্র ব্যবহার করুন।
সুতো দিয়ে দাঁত পরিষ্কারঃ আমরা প্রতিবার খাবার গ্রহণ করার পর আমাদের দাঁতের ফাকে অনেক খাবার লেগে থাকে যা ব্রাশ কিংবা পানি দিয়ে পরিষ্কার হয়না, ফলে এক্ষেত্রে আপনি একটি চিকন সুতা দিয়ে দাঁতের ফাক সমূহ ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে পারেন, দৈনিক অন্তত দুইবার এভাবে পরিষ্কার করুন।

জেনে নিন ডালের পুষ্টিগুণ

ডালকে বলা হয় গরিবের মাংস। ডাল উদ্ভিজ্জ আমিষের প্রধান উৎস। যদিও গুণগত মানের দিক থেকে প্রাণিজ আমিষ উদ্ভিজ্জ আমিষের তুলনায় ভালো, কিন্তু সুস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করলে ডালের আমিষ গরুর মাংস বা খাসির মাংসের চেয়ে অনেক গুণে ভালো। কারণ ডালে ক্ষতিকর সম্পৃক্ত ফ্যাট নেই বললেই চলে। আমাদের দেশে নানা রকমের ডাল পাওয়া গেলেও মসুর, মুগ, কলাই ও ছোলা বেশি জনপ্রিয়। বাঙালির খাদ্যাভ্যাসের ভালো দিক হচ্ছে ডালের ব্যবহার। মানুষ ভাতের সঙ্গে ডাল খায়।
মজার বিষয় হলো, ভাত ও ডাল একসঙ্গে খেলে ডালের আমিষের গুণগত যে ঘাটতি থাকে তা পূরণ হয়ে যায়। সে জন্যই ছোট শিশুদের ডাল-চালের খিচুড়ি খাওয়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। ডাল ছোট-বড় সব বয়সের মানুষের জন্য সমান উপযোগী ও স্বাস্থ্যকর একটি খাবার।
স্বাস্থ্য তথ্য
ডাল আমাদের শরীরে আমিষের চাহিদা পূরণ করে দেহের ক্ষয়পূরণ ও বৃদ্ধি সাধনে সহায়তা করে।
খাদ্য আঁশের একটি উল্লেখযোগ্য উৎস হলো ডাল। সব রকমের ডালেই বেশ ভালো পরিমাণে খাদ্য আঁশ আছে। ফলে ডাল হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধের জন্য আদর্শ খাবার। সেই সঙ্গে খারাপ কোলেস্টেরলকে কমিয়ে বাড়িয়ে দেয় ভালো কোলেস্টেরলের পরিমাণ।
ডালের শর্করা জটিল প্রকৃতির, তাই এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অন্যান্য খাদ্যশস্যের তুলনায় কম। ফলে এটি রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা ঠিক রাখতে সহায়তা করে।
ডালে একসঙ্গে আয়রন ও ফলেট দুটিই পাওয়া যায়। গর্ভবতী মায়েদের জন্য এই দুটি উপাদান বেশ প্রয়োজনীয়। সেই সঙ্গে আয়রন রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
যাঁরা শরীরের বাড়তি ওজন কমাতে চান তাঁরা ভাতের পরিমাণ কমিয়ে তার বদলে নিয়মিত ডাল খেতে পারেন। এতে ক্ষুধা হ্রাস পাওয়াসহ ভরাপেটের অনুভূতি থাকবে দীর্ঘক্ষণ।
শিশুদের জন্য ভাত-ডাল-সবজি-তেলের খিচুড়ির জুড়ি নেই। তাই দিনে কমপক্ষে একবার শিশুকে খিচুড়ি খাওয়ানো দরকার। এ ক্ষেত্রে সঙ্গে এক টুকরা লেবু চিপে দিয়ে বাড়াতে পারেন আয়রনের শোষণ ক্ষমতা। কলাই ও ছোলার ডালে নানা রকমের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট আছে, যা কিছু নির্দিষ্ট ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
প্রায় সব রকমের ডালেই প্রোটিয়েজ ইনহিবিটর নামের এক ধরনের উপাদান আছে, যা স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
সতর্কতাযাদের ডায়াবেটিস আছে ও ওজন বেশি তাদের পরিমাণের প্রতি দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন।
ডালে পিউরিন নামের এক ধরনের উপাদান আছে, যাদের গাউট অথবা কিডনিতে পাথর আছে তাদের সতর্কতার সঙ্গে ডাল খাওয়া উচিত।
এ ছাড়া ডাল খেলে অনেকের অ্যালার্জি বা বদহজম হতে পারে। এ ক্ষেত্রে রান্না করার আগে ডালকে ছয় থেকে আট ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখলে সমস্যা কিছুটা কমতে পারে।

হৃদরোগে উপকারী তেঁতুল ভেষজ চিকিৎসা

হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগে খুব উপকারী তেঁতুল বসন-কালের ফল হলেও সারা বছর পাওয়া যায়। অনেকেরই ধারণা তেঁতুল খাওয়া শ্বাসতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর এবং রক্ত পানি হয়। এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। তেঁতুলে রয়েছে প্রচুর ভেষজ ও পুষ্টিগুণ। তেঁতুল দেহে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃদরোগীদের জন্য খুব উপকারী। 

তেঁতুল দিয়ে কবিরাজি, আয়ুর্বেদীয়, হোমিও, এলোপ্যাথিক ওষুধ তৈরি করা হয়। স্কার্ভি রোগ, কোষ্ঠবদ্ধতা, শরীর জ্বালা করাসহ প্রভৃতি রোগে তেঁতুলের শরবত খুব উপকারী। তেঁতুল রক্তের কোলেস্টেরল কমায়। মেদ-ভুঁড়ি কমায়। পেটে গ্যাস হলে তেঁতুলের শরবত খেলে ভালো হয়। পাকা তেঁতুল কফ ও বায়ুনাশক, খিদে বাড়ায় ও উষ্ণবীর্য হয়। তেঁতুল গাছের বাকল, ফুল, পাতা, বীজ ও ফল সবই ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

তেঁতুল বীজের শাঁস পুরনো পেটের অসুখে উপকারী। তেঁতুল পাতার রস কৃমিনাশক ও চোখ ওঠা সারায়। মুখে ঘা বা ড়্গত হলে পাকা তেঁতুল জলে কুলকুচি করলে উপকার পাওয়া যায়। বুক ধড়ফড় করা, মাথা ঘোরানো ও রক্তের প্রকোপে তেঁতুল উপকারী। 

কাঁচা তেঁতুল বায়ুনাশক। কাঁচা তেঁতুল গরম করে আঘাত পাওয়া স'ানে প্রলেপ দিলে ব্যথা সারে। তেঁতুল গাছের শুকনো বাকলের প্রলেপ ড়্গতস'ানে লাগালে ড়্গত সারে। পুরনো তেঁতুল খেলে আমাশয়, কোষ্ঠবদ্ধতা ও পেট গরমে উপকার পাওয়া যায়। পুরনো তেঁতুল খেলে কাশি সারে।পাকা তেঁতুলে মোট খনিজ পদার্থ সব ফলের চেয়ে অনেক বেশি।

খাদ্যশক্তির পরিমাণ নারিকেল ও খেজুর ছাড়া সব ফলের চেয়ে বেশি। ক্যালসিয়ামের পরিমাণ সব ফলের চেয়ে ৫ থেকে ১৭ গুণ বেশি। আয়রণের পরিমাণ নারিকেল ছাড়া সব ফলের চেয়ে ৫ থেকে ২০ গুণ বেশি। অন্যান্য পুষ্টি উপাদান স্বাভাবিক পরিমাণে আছে।

 প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা তেঁতুলে মোট খনিজ পদার্থ ২.৯ গ্রাম, খাদ্য-শক্তি ২৮৩ কিলোক্যালরি, আমিষ ৩.১ গ্রাম, চর্বি ০.১ গ্রাম, শর্করা ৬৬.৪ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ১৭০ মিলিগ্রাম, আয়রন ১০.৯ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন ৬০ মাইক্রোগ্রাম ও ভিটামিন সি ৩ মিলিগ্রাম।

প্রাকৃতিক নিয়মে পরিবার পরিকল্পনা

ওষুধ সেবন, কিংবা কনডমসহ জন্ম নিয়ন্ত্রণের আধুনিক যেকোন পদ্ধতি ছাড়াই সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে জম্ম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এটি ভালভাবে জানা থাকলে এর জন্য কোন চিকিৎসকের কাছে যাওয়ারও দরকার হয় না। 

মেয়েদের মাসিক ঋতুচক্র (Menstrual cycle) প্রাকৃতিকভাবে নির্ধারিত। এতে এমন কিছু দিন আছে যা নিরাপদ দিবস (Safe period) হিসেবে ধরা হয়। এই দিবস গুলোতে স্বামী-স্ত্রীর মিলনের ফলে স্ত্রীর সন্তান সম্ভবা হবে না। এই নিরাপদ দিনগুলো প্রকৃতিগতভাবেই নির্দিষ্ট। তাই একে প্রাকৃতিকপরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি বলা হয়। চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা এটাকে অনেক সময় ক্যালেন্ডার পদ্ধতিও বলাহয়। এ পদ্ধতি কার্যকর করতে অবশ্যই জেনে নিতে হবে আপনার স্ত্রীর ঋতুচক্রের নিরাপদ দিন কোনগুলো।

 এ জন্য সবার আগে জানা চাই তার মাসিক নিয়মিত হয় কিনা, হলে তা কতদিন পরপর হয়। এবার সবচেয়ে কম যতদিন পরপর মাসিক হয় তা থেকে ১৮ দিন বাদ দিন, মাসিক শুরুর ১ম দিন থেকে ওই দিনটিই হলো প্রথম অনিরাপদদিন। আবার আপনার স্ত্রীর সবচেয়ে বেশি যতদিন পরপর মাসিক হয় তা থেকে ১০ দিন বাদ দিন, মাসিক শুরুর ১ম দিন থেকে ঐ দিনটিই হলো শেষ অনিরাপদ দিন।

ধরুন, আপনার স্ত্রীর মাসিক ২৮ থেকে ৩০ দিন পরপর হয়। তাহলে ২৮-১৮=১০, অর্থাৎ মাসিকের শুরুর পর থেকে প্রথম ৯ দিন আপনার জন্য নিরাপদ দিবস, এই দিন গুলোতে অন্য কোনো পদ্ধতি ছাড়াই সঙ্গম করা যাবে।

১০ম দিন থেকে অনিরাপদ দিবস, তাই ১০ম দিন থেকে সঙ্গমে সংযম করতে হবে। আবার যেহেতু ৩০ দিন হলো দীর্ঘতম মাসিকচক্র। তাই ৩০-১০=২০, অর্থাৎ ২০ তম দিন আপনার জন্য শেষ অনিরাপদ দিবস।

২১ তম দিবস থেকে আপনি আবার অবাধ সঙ্গম করতে পারবেন। তাতে সন্তান গর্ভধারণের সম্ভাবনা নাই। তবে এই উদাহরণে শুধু ১০ ম থেকে ২০ ম দিবস পর্যন্ত আপনি অবাধ সঙ্গম করলে আপনার স্ত্রীর গর্ভধারণ করার সম্ভাবনা আছে।

উপরে যেভাবে বলা হয়েছে, তাতে অনেকের কাছে জটিল মনে হতে পারে। তবে হিসাবের জন্য খুব সহজ পদ্ধতি হল, মাসিক শুরুর পর ১ম ৭ দিন আর মাসিক শুরুর আগের ৭ দিন অবাধ সঙ্গম করা নিরাপদ। মানে, এই সময় মিলন করলে সন্তান গর্ভে আসার সম্ভাবনা নাই। জেনে রাখা ভালো অনিয়মিতভাবে মাসিক হবার ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি কার্যকর নয়।

 এছাড়া প্রাকৃতিক জন্মনিয়ন্ত্রণ ৮০% নিরাপদ, বা এর সাফল্যের হার শতকরা ৮০ ভাগ। সাধারণত মাসিকের হিসেবে গণ্ডোগোল করে ফেলা, অনিরাপদ দিবসেও মিলনের সুযোগ নেয়া বা ঝুঁকি নেয়া, অনিয়মিত মাসিক হওয়া ইত্যাদি কারণে এই পদ্ধতি ব্যর্থ হতে পারে। তাই সঠিক হিসেব জেনে নেবার জন্য ১ম বার চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে। কিছু পুরুষের শুক্রাণুর আয়ু বেশি হওয়ায় তারা এটায় সফল নাও হতে পারেন। সেক্ষেত্রে অনিরাপদ দিবস ২ দিন বাড়িয়ে নেবার প্রয়োজন হতে পারে। অনেকে এটাকে Programmed sex বলে একে ঝামেলাপূর্ণ মনে করেন, কিন্ত একবারএতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে এটা বেশ সহজ, আরামদায়ক এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন।- সূত্র: অনলাইন